সোহেল তাজকে দেশ ছাড়তে বাধা, বিমানবন্দরে আসলে কী ঘটেছিল?
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() সোহেল তাজকে দেশ ছাড়তে বাধা, বিমানবন্দরে আসলে কী ঘটেছিল? তবে কেন সোহেল তাজকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে মিমি বলেন, সেটা তাদেরই জিজ্ঞেস করুন। ঘটনার বিস্তারিত বলতে রাজি হননি তিনি। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পারি জমানোর জন্য নিজ বাসভবন ত্যাগ করেন সোহেল তাজ। বিমানবন্দরে যাওয়ার পর তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সোহেল তাজ একসময় আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী থাকলেও ২০১২ সালে এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার ছেড়ে দেওয়া আসনে বোন এমপি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে তাকে দেখা যায়নি। এক সময় আওয়ামী লীগে ফেরানোর চেষ্টা করানো হয় সোহেলকে। তবে দলের কোনো পদে আর ফেরেননি তিনি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন। তিনি আওয়ামী লীগের এই পরিণতির জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করেন। রাজনীতিতে গুঞ্জন ছড়ায় যে, সোহেল তাজের নেতৃত্বে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ হবে। তবে সেটি এখনও পর্যন্ত হয়নি। সোহেল তাজ কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখাও করেন। তিনি আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচকের ভূমিকায় রয়েছেন। তবুও কেন সোহেল তাজকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিমানবন্দর থেকে সোহেল তাজকে ফিরিয়ে দেওয়ার খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যপক আলোচনা শুরু হয়। ঘটনার সত্যতা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এক কর্মকর্তা জানান, ‘ভ্রমণরোধ’ থাকায় সোহেল তাজ দেশ ছাড়তে করতে পারেননি। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকার বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরে সোহেল তাজের সঙ্গে কী ঘটেছিল স্পষ্ট হতে আরও সময় লাগবে। তবে সোহেল তাজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কী কারণে তাকে আটকে দেওয়া হয়েছে সেটি তার কাছেও স্পষ্ট নয়। তিনি জানার চেষ্টা করছেন। সোহেল তাজ ২০০১ ও ২০০৮ সালে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) থেকে দুবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। তবে পাঁচ মাসের মাথায় ২০০৯ সালের ৩১ মে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘ সময় রাজনীতি থেকে দূরে থাকা সোহেল তাজ তখনই অভিযোগ করেছিলেন, তার কাজের ক্ষেত্রে নানারকম বাধা ও অবজ্ঞার শিকার হচ্ছেন তিনি। সেসব কারণে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন সোহেল তাজ। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |