পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে হামলা, বিএনপি'র সকল নিউজ বয়কটের ঘোষণা
নতুন সময় প্রতিনিধি
প্রকাশ: Wednesday, 23 October, 2024, 7:21 PM
বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে একাধিকবার হামলার পাশাপাশি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল ১১ টার দিকে এঘটনার পরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিএনপির সকল সংবাদ প্রচারে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে পাথরঘাটা প্রেসক্লাব, পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাব ও পাথরঘাটা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যরা।
জানা গেছে, পাথরঘাটায় কথিত বিএনপি নেতা ও পাথরঘাটা প্রেসক্লাব থেকে জাকির হোসেন খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম এবং প্রেসক্লাবের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের করায় সাংবাদিকদের সুপারিশ ভিত্তিতে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পর থেকেই কথিত সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক নেতা জাকির হোসেন খানের ইন্ধনে বিএনপির একাধিক নেতারা পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে এসে পর্যায়ক্রমে একাধিকবার হামলা চালায়। সব শেষ বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাবে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলাকালীন ভিতরে প্রবেশ করে সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর ইকবালের নাম ফলক ভেঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালমন্ধ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী প্রতিবাদ করলে তাকেও লাঞ্চিত করে হুমকি দিয়ে যান নেতাকর্মীরা। বিষয়টি পাথরঘাটায় ছড়িয়ে পরলে সংবাদিকদের তিনটি সংগঠনের নেতারা তাৎক্ষণিক বিএনপি এবং তাদের সংশ্লিষ্ট সকল সংবাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বয়কটের ঘোষণা দেন।
পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর ইকবাল জানান, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে গত বছরের নির্বাচনে সদস্য জাকির হোসেন খানের প্রতিদ্বন্দী ছিলাম। সে থেকেই জাকির হোসেন খান আমার প্রতি ক্ষিপ্ত। আমি যেন নির্বাচিত হতে না পারি সেজন্য নির্বাচনের সময় জাকির হোসেন পাথরঘাটার আ'লীগের নেতাদের সাহায্যে তৎকালিন পাথরঘাটা থানার ওসিকে দিয়ে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মো. ফারুককে ব্যাপক ভাবে লাঞ্চিত করে। পরে ভোটের মাধ্যমে আমি নির্বাচিত হই। গত ৫ আগস্ট দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পরেই উপজেলার কিছু বিএনপি নেতাদেরকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেন। বিএনপি নেতাদের ভুল বুঝিয়ে আমাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করে। পূনরায় আজ সকাল ১১টার দিকে আমি এবং প্রেসক্লাবের সভাপতি গেলাম মোস্তফা চৌধুরী প্রেসক্লাবে প্রবেশ করলে আমার উপরে হামলা করেন এবং সভাপতিকে লাঞ্চিত করেন।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক চৌধুরী মো. ফারুক জানান, এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, আমরা বসে সাংবাদিকদের নিয়ে বিষয়টি সমাধন করে দিবো। যারা এই কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, আমার সামনেই সাধারণ সম্পাদককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। গুটিকয়েক লোকের জন্য বিএনপি'র দুর্নাম হচ্ছে। তাছাড়া এর একটি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের সকল সংবাদ পাথরঘাটার সাংবাদিকরা বর্জন করেছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, ঘটনার পরে প্রেসক্লাবে গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে আবগত হয়েছি।