ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মঠবাড়িয়ায় আমন বীজের তীর্ব সংকটে ১ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি
নতুন সময় প্রতিনিধি
প্রকাশ: Monday, 14 October, 2024, 6:01 PM

মঠবাড়িয়ায় আমন বীজের তীর্ব সংকটে ১ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি

মঠবাড়িয়ায় আমন বীজের তীর্ব সংকটে ১ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চলতি মৌসুমে টানা ভারি বর্ষণ ও অতি জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কৃষকের শত শত হেক্টর আমন ধানক্ষেত তলিয়ে জলাবদ্ধতার কারণে এ অঞ্চলের প্রধান ফসল আমন ক্ষেতের ধানের চারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমন ধানের চারার তীর্ব সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে মাত্রাতিরিক্ত দামে বীজ (ধানের চারা) কৃষকরা ক্রয় করে রোপন করছেন।

উপজেলার উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত আষাঢ় থেকে ২/৩ দফা বীজতলা করেও ধান চারা রোপন করলেও বেশিরভাগই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। সর্বশেষ সম্প্রতি কয়েক দিন টানা বর্ষণ ও অতি জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় তাও বাঁচানো যাচ্ছে না।

উপজেলার বুড়িরচর গ্রামের শাহাদাৎ হাওলাদার, উত্তর মিঠাখালী গ্রামের শাহাদাৎ ফরাজি ও গুলিশাখালী গ্রামের কৃষক বজলু মিয়া জানান, টানা বৃষ্টি ও অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে এলাকার অধিকাংশ বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশন ও পরিচর্যা করেও ধান চারা বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাই নতুন করে বাজার থেকে বেশী দামে চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

উপজেলার ধান চারা বিক্রেতা ফজলুল হক বলেন, আমরা ধানের চারাগুলো বাগেরহাটের বাধাল থেকে কিনে এনে আমাদের উপজেলা কৃষকদের কাছে বিক্রি করে যাচ্ছি। প্রতি পোন (৮০ আটি) চার হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর আমন মৌসুমে দুই দফা বীজতলা করেও বেশির ভাগ বীজ (ধানের চারা) নষ্ট হয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে আছে, তা গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই ধান চারার চাহিদা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ভারি বর্ষণ ও অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে আমন চাষের জমি ডুবে থাকায় পচন ঝুঁকিতে রয়েছে। টানা দুইবার ভারী বর্ষণে রোপণকৃত ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। বীজ সংকটের কারণে অন্য উপজেলা থেকে যেমন ভান্ডারিয়া, বাগেরহাট, কাউখালী, বেতাগীসহ অন্য জায়গা থেকে ধান চারা (বীজ) সংগ্রহ করে রোপন করা যাচ্ছে। ১ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে এখনোও চাষাবাদ করা সম্ভব হয়নি।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status