কুড়িগ্রামে রৌমারীর ড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধের ২৪ বছর উদযাপন
আহম্মেদুল কবির, কুড়িগ্রাম
|
১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধে নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সূধীবৃন্দের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। ২০০১- সালের এই দিনে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বড়াইবাড়ী গ্রামে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে নারকীয় তান্ডব চালায়। অকুতোভয় তৎকালিন বিডিআর জোয়ান ও গ্রামবাসীদের যৌথ সহযোগিতায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হলে তৎকালীন বিডিআর ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ' র মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয় বাংলাদেশের ৩৩ রাইফেল্স ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফেলস্ ব্যাটালিয়নের সিপাহী আঃ কাদের নামের তৎকালীন বিডিআর- এর ৩ জোয়ান। অপরদিকে ভারতীয় বিএসএফ' র ১৬ জন সদস্য নিহত হয়। সেই থেকে ঐতিহাসিক এই দিবসটি ‘বড়াইবাড়ী দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। আমরা তোমায় ভুলি নাই - এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধের ২৪ বছর উদযাপন উপলক্ষে বড়াইবাড়ি দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে সাবেক এমপি রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে বড়াইবাড়ী মসজিদ মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মন্ডল, শামসুল আলম দোহা, যুবলীগের সভাপতি বন্দবেড় ইউনিয়ন শাখা, ফজর আলী, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মৎস্যজীবী লীগ রৌমারী উপজেলা শাখা। ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ উপজেলা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ প্রমূখ। আলোচনা সভায়, এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তাগণ বিজিবি ক্যাম্পের সামনে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, চলমান নির্মিত ব্রীজ ও রাস্তা তিন শহীদদের নামে নামকরণ ও ঐতিহাসিক দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |