যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমনে পুলিশি অভিযান আরও বিস্তৃত হয়েছে। নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে রাজ্যটির পুলিশ বাহিনী। সেখান থেকে শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিনপন্থিদের উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসের (ইউসিএলএ) অবরোধ উচ্ছেদে, কর্তৃপক্ষ দাঙ্গা পুলিশ ডেকে নিয়ে আসে। চার শতাধিক বিক্ষোভকারীকে সরে যেতে আলটিমেটাম দিয়ে শত শত পুলিশ সদস্যকে সেখানে মোতায়েন করা হয়। রাবার বুলেট ও ফ্ল্যাশব্যাং ব্যবহার করে বুধবার পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়েছে।
এর আগে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস থেকে চলে যাবার জন্য আহবান জানিয়েছিলো পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার অচলাবস্থা শেষে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তাঁবুতে প্রবেশ করতে শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তাঁবুগুলো সরিয়ে ফেলে। এ সময় ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশি অভিযানের ২৪ ঘণ্টা আগেই ইউসিএলএ ক্যাম্পাসে সহিংস ইসরায়েলপন্থি উগ্র জনতা আক্রমণ করে ফিলিস্থিনপন্থিদের তাঁবুকে। এ সময় পুলিশের ভূমিকা সমালোচিত হয়। এই সহিংসতা থামাতে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ। রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনাও করেন ক্যালিফোর্নিয়ার মেয়র।
ইসরাইলপন্থিদের হামলা ২৪ ঘণ্টা পার হবার আগেই ফিলিস্তিনপন্থিদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের সমালোচনা করছেন দেশটির বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এর আগে নানা সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কর্তৃপক্ষ বাধা না দিলেও, এবার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের ক্ষেত্রে দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে।
রয়টার্স, বিবিসি ও আল জাজিরা জানিয়েছে, পুলিশি অভিযানের পর সব বিক্ষোভকারীকে ইউসিএলএ ক্যাম্প থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় কিছু বিক্ষোভকারীকে ভয়ার্ত দেখালেও, অন্যরা অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। অনেক বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘তোমাকে লজ্জা’ বলে চিৎকার করছিলেন।
ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী এবং ইসরাইলপন্থি একটি দলের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো দাঙ্গা পুলিশের উপস্থিতিতে আরও থমথমে হয়ে উঠে পরিস্থিতি। পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্পাসের এক অংশ থেকে আরেক অংশে টহল দিচ্ছিলো। সবার কাছে দাঙ্গা দমনের হাতিয়ার ছিলো।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাঁবু খাটিয়ে ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে, তা অবৈধ। অবিলম্বে বিক্ষোভ বন্ধ না করলে তাদেরকে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ মুহূর্তে ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
পুলিশি অ্যাকশনের পর বিপর্যস্ত কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
এদিকে, বিবিসি জানিয়েছে, নিউইয়র্ক শহরের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এর পর কী হতে যাচ্ছে তা নিয়েই সর্বত্র এক থমথমে ভাব আর অনিশ্চয়তা। শিক্ষার্থীরা বলেছেন মঙ্গলবার গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি মানুষকে আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত।
পুলিশ কমিশনার এডওয়ার্ড ক্যাবান বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কলাম্বিয়া এবং নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়র এরিক অ্যাডামস উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য বহিরাগত আন্দোলনকারীদের দায়ী করেছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার পর তারা বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেড ডিঙ্গিয়ে হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে দ্বিতীয় তলার জানালা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের হাতকড়া পরিয়ে বের করে নিয়ে আসে। পরে তাঁবু ছাউনিগুলোও সরিয়ে দেয় পুলিশ সদস্যরা।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার
পুলিশ বুধবার টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে। নিউইয়র্কের ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এবং স্কুল ভবনের ভেতরে বিক্ষোভকারীদের আস্তানা থেকে তাদের উচ্ছেদ করে। কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) বিক্ষোভকারীরা বুধবার সন্ধ্যার ব্যস্ততম সময়ে কেমব্রিজ ক্যাম্পাসের কাছের এভিনিউ বন্ধ করে দেয়। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তাদের ক্যাম্প থেকে উচ্ছেদ করে। একই সঙ্গে অন্তত ১৭ জনকে আটক করে।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করেছে। এছাড়া সেখানের দুজন শিক্ষার্থী ও দুই বহিরাগতকেও আটক করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দিক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে, স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটির ২৯ শিক্ষার্থী, ফ্যাকাল্টি সদস্য ও আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভের মুখে ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্ট তাদের বিনিয়োগ তালিকা প্রকাশ করতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
বিক্ষোভকারীদের তাঁবুগুলোর শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে নেওয়ার বিনিময়ে নতুন একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠনে রাজি হয়েছে নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর ইসরাইল নিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ রাজি হবার পর বিক্ষোভ কর্মসূচি তুলে নিয়েছে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা।
উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়েও পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে টিভি ফুটেজে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে বিক্ষোভ চলছে। সবগুলো বিক্ষোভ থেকেই ইসরাইল প্রশ্নের মার্কিন নীতি পরিবর্তনের দাবি উঠেছে।
উল্লেখ্য, ইসরাইলের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গেলো কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি জায়গায় তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু করে এই বিক্ষোভ।
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে আমেরিকার বিক্ষোভ
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নারকীয় আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান বিক্ষোভ আরও বিস্তৃত হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। এই জোয়ার এখন যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের কমপক্ষে আরও সাতটি দেশে। খবর বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএল ও ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থিরা বিক্ষোভ করেছেন। তাঁবু গেড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউবেক ক্যাম্পাসে। দেশটির মন্ট্রিলের কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ফিলিস্তিনপন্থিরা বিক্ষোভ করছেন।
মিসরের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি জন কায়রো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়েছে। এরপর ফ্রান্সের সায়েন্সেস পো অ্যান্ড সারবোন ও ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজ ক্যাম্পাস এবং ইতালির স্যাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে।
জো বাইডেন নিশ্চুপ, কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসরাইলকে দৃঢ় সমর্থন দেয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যদিও হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাদের ধারণা মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থী এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তারা যদি প্রতিবাদ করতে যায়, তাহলে আমেরিকানদের অধিকার আছে শান্তিপূর্ণভাবে তা মোকাবেলা করার।
তবে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, সামনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থাকায় এ ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করছেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের পক্ষে তার দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি প্রতিটি কলেজের প্রেসিডেন্ট ও উপাচার্যের প্রতি বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্প অবিলম্বে ভেঙে দিয়ে তাদের উচ্ছেদের আহবানও জানিয়েছেন।
গত শতকের ষাটের দশকের শেষ দিকে ভিয়েতনামে মার্কিন আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় আকারের আন্দোলন শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।
বিক্ষোভ নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
সানফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক অধ্যয়নের অধ্যাপক স্টিফেন জুনেস বলেন, গাজা ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশের প্রতিক্রিয়া অতীতের রাজনৈতিক বিক্ষোভের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। এটি গাজা সমর্থকদের প্রতি অসহিষ্ণুতার একটি ‘বিরক্তিকর’ স্তরকে প্রতিফলিত করে।
তিনি বলেন, এ ধরনের শান্তিপূর্ণ ক্যাম্প নতুন নয়। ১৯৮০-এর দশকে বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসা করা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও একই রকম বিক্ষোভ হয়েছিল। তখন শিক্ষার্থীদের অবস্থানের অনুমতি দেয়া হয়। এখন ইউসিএলএ এবং অন্যান্য ক্যাম্পাসে যা হচ্ছে তা হলো অসহিষ্ণুতা।
কাতার ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক হাসান বারারি বলেন, মার্কিন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রমবর্ধমান মৌখিক আক্রমণ সত্ত্বেও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন না। তারা তাদের উদ্দেশ্য সফল না করা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
যুক্তরাষ্ট্রে এবারের প্রতিবাদ আন্দোলনকে ইতিহাসে একবারে নতুন কিছু বলে অভিহিত করে অধ্যাপক বারারি বলেন, লোকেরা বলে ১৯৬০-এর দশকে (ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী) শিবিরগুলো হয়তো এ রকম ছিল। কিন্তু আসলে তা নয়। এটি সত্যিই নতুন ধরনের। আর এই বিক্ষোভের ফলাফল সুদূরপ্রসারীও বটে।
তিনি বলেন, মার্কিন গণমাধ্যমও লোকদের বেরিয়ে আসতে এবং দখলদারিত্ব, গণহত্যা ও যুদ্ধে আমেরিকার অর্থায়নের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। কারণ, দেশটির করদাতারা তাদের করের অর্থ দিয়ে নৃশংসতা দেখতে চায় না।