‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের সহজে কেউ বিয়ে করতে চায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি আরও বেশ কিছু নারীকে নিয়ে অবমাননাকর কথা বলেন। শাবিপ্রবি উপাচার্যের এ রকম একটি অডিও রেকর্ড এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ‘জাবির মেয়েদের কেউ বিয়ে করতে চায় না’
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই অডিওতে জাবির নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তার এই মন্তব্য শোনা যায়। শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা তার ওই অডিও’র সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ভাইরাল অডিওতে উপাচার্যকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে আমাদের ছাত্রনেতারা বলছেন যে জাহাঙ্গীরনগরের মেয়েদের কেউ সহজে বউ হিসেবে নিতে চায় না। কারণ সারা রাত এরা ঘোরাফিরা করে। বাট আমি চাই না যে, আমাদের যারা এত ভালো ভালো স্টুডেন্ট, এ রকম একটা কালিমা লেপুক তাদের কপালে।’
শাবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, ‘এটা তো প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব, তোমাদেরও নৈতিক দায়িত্ব যে একটা মেয়ে কেন রাতের বেলা সোয়া দশটা পর্যন্ত স্যাররে সময় দিছে, ওই জায়গাটা কেউ চায় না, কোনো গার্জিয়ান (অভিভাবক) চায় না কিন্তু। এখন, আমরা যদি কাউকে বলি তোমার বাবা-মা কাউকে ফোন করব। তখন তোমরাই তো এটা বাধা দিবা, না না না এইটা হবে না, দেখ হয়রানি করতেছে।’
উপাচার্যকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশে সোয়া দশটা পর্যন্ত মেয়েরা অফিসে থাকতে পারে না। তারপরেও আমরা সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু যারা এই ধরনের দাবি তুলেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় সারা রাত খোলা রাখতে হবে, অবশ্যই এই দাবিটা এসেছে এবং এইটা একটা জঘন্য রকম দাবি। আমরা মুখ দেখাইতে পারতাম না।’
‘আমি মাঝে মাঝে ঢাকা থেকে যখন আসি রাতে বারোটা একটা বেজে যায়। আমি দেখি যে আমাদের ওয়ান কিলোমিটার রাস্তা দিয়া ছেলে-মেয়ে হাত ধরাধরি করে কনসালটিং করতেছে। একটা অঘটন ঘটলে কিন্তু দায়দায়িত্ব ভাইস চ্যান্সেলরকে নিতে হবে। যত দোষ, নন্দ ঘোষ। ভাইস চ্যান্সেলর দায়ী সে জন্য।’