কাউন্সিলর হত্যা রহস্য উদঘাটন আজ বা কাল : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
কুমিল্লায় নিজ কার্যালয়ে সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে সোমবার গুলি করে হত্যা করা হয়।এ ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘গত পরশু দিন একটা হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী চেষ্টা করছে। আশা করছি, আমরা আজকে বা কালকে সমস্ত রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারব।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) এক সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সামনে সব অপরাধের ধরন পাল্টে যাচ্ছে ও যাবে। তখন সাইবার অপরাধ যে পরিমাণ আসবে, তা আমরা চিন্তাও করতে পারছি না। সে অনুযায়ী আমরা পুলিশ বাহিনীকে তৈরি করছি। এনটিএমসিকেও আমরা সেভাবে তৈরি করছি। এ সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে এনটিএমসি আরও শক্তিশালী হবে। প্রসঙ্গত, সোমবার বিকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। এ সময় পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী শাহ আলম এবং সুমনের নেতৃত্বে ৪টি মোটরসাইকেলযোগে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে কাউন্সিলরের পেটে, বুকে এবং মাথায় তিনটি এবং হরিপদ সাহার পেটে এবং বুকে দুটি গুলিবিদ্ধ হয়। এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহেল চৌধুরী (৩৮), সদস্য মো. বাদল (২৮), কাউন্সিলরের সহযোগী রিজু (২৩), জুয়েল (৪০) ও রাসেল (৩২) আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল এবং হরিপদ সাহা মারা যান। বাকি চারজন কুমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে মামলার চার নম্বর আসামি সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার রাতে কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই রুমন কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা আরও ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |