ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
সদস্য হোন |  আমাদের জানুন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ৪ মে ২০২৪ ২১ বৈশাখ ১৪৩১
যশোরের চৌগাছায় কৃষকের মনে সোনালী স্বপ্ন মাঠে মাঠে চলছে ইরি ধান কাটার মহা উৎসব
মাহমুদুর রহমান, চৌগাছা
প্রকাশ: Tuesday, 23 April, 2024, 6:56 PM

যশোরের চৌগাছায় কৃষকের মনে সোনালী স্বপ্ন মাঠে মাঠে চলছে ইরি ধান কাটার মহা উৎসব

যশোরের চৌগাছায় কৃষকের মনে সোনালী স্বপ্ন মাঠে মাঠে চলছে ইরি ধান কাটার মহা উৎসব

যশোরের চৌগাছায় ইরি ধান কাটা শুরু হয়েছে। ঘরে উঠবে কৃষকের সোনালী স্বপ্নের ধান। মাঠজুড়ে বাতাসে দুলছে কৃষকের সোনালী ফসল। পোকার আক্রমণ আর নানা রোগবালাইয়ের পরও এবারও ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

উপজেলা জুড়ে কৃষক পরিবারে বইছে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। মাঠে মাঠে আনন্দে মাতুয়ারা হয়ে দোল খাচ্ছে সোনালী ধানের শিষ। প্রতিটি ধানের শিষে যেন কৃষকের রক্তপানি করা ক্লান্তি মাখা জীবনের স্বপ্ন নির্ভর করছে। তার পরেও বাম্পার ফলন আর বাংলা নববর্ষের আনন্দে মাঠে মাঠে ধান কাটার উৎস বইছে। পাঁকা ধানের শিষে সূর্যের সোনালী রোদ যেন খেলায় মেতেছে। কৃষাণ-কৃষাণীদের মনে বইছে আনন্দ আর প্রাণখোলা হাঁসি।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, এ বছর ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ হাজার ৩০০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৮০০মেট্রিকটন।

উপজেলা জুড়ে ধানের বাম্পার ফলনে বাধ-ভাঙ্গা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে কৃষকরা। দিগন্ত জুড়া সোনালী ফসলের মনোরম দৃশ্য যেন মেলে রাখা গালিচা। আগাম রোপণ করা ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে ধানকাটার মহোৎসব। ব্যস্ততম সময় কাটবে কৃষক-কৃষানীদের। প্রচণ্ড তাপদাহে খুব সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে সোনালী স্বপ্ন ঘরে তোলার কাজ।

উপজেলার দশপাখিয়া  গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তার তিন বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। ফলন অনেক ভালো, তার পরও ধান চাষে যে পরিমাণ খরচ  তাতে কম পক্ষে ১৫’শ টাক মন দরে ধান বিক্রি করতে পারলে হাড়ভাঙ্গা শ্রম সার্থক হবে।

পাশাপোল গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান,রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক সাহাজুদ্দিন,আব্দুল বারিক,আলতাফ হোসেন, আবু কালাম, বাড়ীয়ালি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও রমজান আলী বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান ফলাতে জমি প্রস্তুত থেকে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে যারা বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পের পানি এবং নিজেরাই পরিচর্যা করেছেন তাদের জন্য খরচ একটু কমবে। সেক্ষেত্রে প্রতি মন ধান ১৫’শ টাকার উপরে বিক্রি করতে পারলে তাদের আসল ঘরে আসবে। তবে গরুর খাদ্য হিসেবে ধানের বিচালি করতে পারলে কিছুটা বেঁচে যান কৃষক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসাইন বলেন, এ বছর আবহাওয়া ভালো হওয়াই ধানের ফলনও ভালো হবে। তাপে ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ইতোমধ্যে কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি অধিদফতরের পক্ষ থেকে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হবে। এতে শ্রমিক সংকট অনেকটা কমে আসবে। তা ছাড়া যেসব ক্ষেতে ধান পেকেছে সেসব ক্ষেতের ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status