ফের ৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন ফজলুল করিম হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন। সাবেক আইজিপি মামুনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা জোনাল টিমের ডিবি পুলিশে পরিদর্শক মো. মাহমুদুর রহমান তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।তার পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বেশ কয়েক দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ফজলুল করিম হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন ঢাকা ময়মনসিংহ রোডের পাশে জসিম উদ্দিন মোড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৫ আগস্ট অংশ নেন ফজলুল করিম। বিকেল সাড়ে চারটায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন ফজলুলসহ আরও অনেকে। ৯টা ১৯ মিনিটের দিকে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন আয়নাল ২১ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৯ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় চৌধুরী মামুন ৬ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং দৈনিক আমার সংবাদের সম্পাদক সাংবাদিক আবু হাশেম রেজাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমি আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। হাসেম রেজার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মাহাবুল ইসলাম রবিবার এ আসামিকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড নামঞ্জুর করে জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তবে আদালত আসামির মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই করে সে প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এজাহারনামীয় ১১৮ নম্বর আসামি হাশেম রেজাকে গত ২২ নভেম্বর মিরপুরের বাসা থেকে হাশেম রেজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই অংশগ্রহণ করে যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকা মনোয়ারা হসপিটালের সামনে গুলিতে নিহত হন রফিকুল ইসলাম। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৯ জুলাই আঞ্জুমান মুফিদুলের মাধ্যমে মরদেহ দাফন করা হয়। নিহতের স্ত্রী অনেক খোঁজাখুঁজির পর ছবি দেখে স্বামীর কবরস্থানের সন্ধান পান। এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী নার্জিয়া আক্তার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৫ জনকে আসামি করা হয়। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |