ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
সদস্য হোন |  আমাদের জানুন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ৪ মে ২০২৪ ২১ বৈশাখ ১৪৩১
শিব নারায়ণের চক্ষুতে দৃষ্টি ফিরে পাবেন মশিউর-কালাম
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Monday, 22 April, 2024, 7:57 PM

শিব নারায়ণের চক্ষুতে দৃষ্টি ফিরে পাবেন মশিউর-কালাম

শিব নারায়ণের চক্ষুতে দৃষ্টি ফিরে পাবেন মশিউর-কালাম

স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশাকার প্রয়াত শিব নারায়ণ দাশ, মৃত্যুর পরও চোখের আলো নেভেনি তাঁর। সেই চোখের আলোতেই পৃথিবী দেখবেন রংপুরের ২১ বছর বয়সী মশিউর রহমান এবং চাঁদপুরের ৩৫ বছরের আবুল কালাম। 

শনিবার ২০ এপ্রিল, ঢাকার দুটি হাসপাতালে আলাদা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই দুজনের চোখে বসেছে শিব নারায়ণ দাশের কর্নিয়া। চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে দৃষ্টি ফিরে পাবেন তারা। 

নিজের দেহও দান করে গিয়েছেন জাতীয় পতাকার এই নকশাকার। ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে তার দেহ।

মশিউর রহমানের চোখের অস্ত্রোপচার ও আবুল কালামের অস্ত্রোপচার হয়েছে সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে।

সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি ও সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংকের কো-অর্ডিনেটর সাইফুল ইসলাম বলেন, বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী শিব নারায়ণ দাশের ছেলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সে অনুযায়ী সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংকের একটি টিম শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কর্নিয়া দুটি সংগ্রহ করে।

শনিবার দু’জনের চোখে কর্নিয়া অপারেশেরন করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শিব নারায়ণ দাশ অবদান রেখেছিলেন, মৃত্যুর পরেও তিনি দুজন অন্ধ মানুষকে পৃথিবীর সুন্দর রং রূপ দেখার সুযোগ করে দিয়ে গেলেন।

শিব নারায়ণের ছেলে অর্নব আদিত্য দাশ বলেন, আমার বাবা সব সময় মানুষের জন্য কাজ করেছেন। যখন থেকে বুঝেছি দেহদান কাকে বলে, তখন থেকেই জানি বাবা দেহদান করতে চান।

তিনি বলেন, বাবার ইচ্ছা ছিল দুজন অন্ধ ব্যক্তি যেন চোখে দেখতে পারেন। তারই ধারাবাহিকতায় কর্নিয়া দান করা হয়েছে।

তরুণ মশিউর রহমানের জন্মগতভাবেই দৃষ্টিশক্তি খুবই কম ছিল বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজশ্রী দাস।

তিনি বলেন, “অপারেশন ভালো হয়েছে। তার চোখে আলো ফুটতে কমপক্ষে চার থেকে ৬ সপ্তাহ লাগবে। এখন যদি সে তার স্বাভাবিক কাজটুকু করতে পারে তাতেই আমরা খুশি।”

বাংলাদেশের প্রথম পতাকায় সবুজের মাঝে লাল বৃত্তের মধ্যখানে ছিল একটি হলুদ রঙের মানচিত্র। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে প্রথম ওড়ানো হয়েছিল এই পতাকা। বাতাসে উড়তে থাকা সেই পতাকা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা, স্বাধীন দেশের আকাশে পতাকা ওড়ানোর স্বপ্ন নিয়েই রোজ নতুন উদ্যোমে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তেন তারা। পতাকার নকশা যারা করেছিলেন, তাদের একজন সে সময়কার ছাত্রলীগ নেতা শিব নারায়ণ দাশ। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস ৭৮ বছর বয়সে শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status