নতুন করে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হচ্ছেন হৃদয়, বিসিবিতে থাকছেন শরফুদ্দৌলা
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() নতুন করে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হচ্ছেন হৃদয়, বিসিবিতে থাকছেন শরফুদ্দৌলা পুনর্গঠিত হচ্ছে সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটি। যে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই পেয়েছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়, সেটিও বলবৎ হচ্ছে আবারও। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে হৃদয়ের শাস্তি কমানো নিয়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, বিসিবি কার্যালয়ে আজ বিকেলে শরফুদ্দৌলার সঙ্গে আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমানের সভার পর সেটি কমে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। শরফুদ্দৌলা এরই মধ্যে বিসিবিতে পদত্যাগপত্র জমা দিলেও সূত্র জানিয়েছে, আজকের সভার পর সেটি প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছেন তিনি। সভা শেষে আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সৈকতকে আমরা পুরো বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ও তার অবস্থান থেকে সরে এসেছে।’ কারও শাস্তি মওকুফের বা কমানোর এখতিয়ার না থাকলেও হৃদয়ের ক্ষেত্রে আম্পায়ার্স বিভাগ কেন সেটি করেছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এটা ভুল করেছি। প্রক্রিয়াটা ভুল ছিল।’ নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি কমানো বা মওকুফের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেবল সিসিডিএম বা সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটি। হৃদয়ের শাস্তি কমানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এর আগে সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সাবেক আম্পায়ার ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হক। তাঁর জায়গায় এখন বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন টেকনিক্যাল কমিটির প্রধানের দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন ইফতেখার রহমান, ‘আমরা টেকনিক্যাল কমিটি পুনর্গঠন করছি। ফাহিম ভাই (নাজমূল আবেদীন) এটার প্রধান হবেন। হৃদয়ের বিষয়টি এখন টেকনিক্যাল কমিটি দেখবে।’ বোর্ডের একটি সূত্রে জানা গেছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা কমানোর সিদ্ধান্তে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ার পর বিসিবি এখন হৃদয়কে নতুন করে বাকি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী এবার সিদ্ধান্তটা নিতে যাচ্ছে সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটি। আম্পায়ার্স বিভাগের শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করে মোহামেডান অধিনায়ককে নতুন করে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হতে পারে। সুপার লিগে মোহামেডানের ম্যাচ বাকি এখনো দুটি। ১২ এপ্রিল মিরপুরে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় মোহামেডান অধিনায়ক হৃদয়কে। তাঁর নামের পাশে যোগ হয় ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট, সঙ্গে করা হয় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা। একই ঘটনায় মোহামেডানের পেসার ইবাদত হোসেনকেও জরিমানা করা হয় ৪০ হাজার টাকা। এই শাস্তি পাওয়ার পরও হৃদয় ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনা যদি অন্যদিকে যায়, আমি মুখ খুলব ইনশা আল্লাহ।’ তাঁর এমন মন্তব্যের পর শাস্তি বাড়িয়ে তাঁকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও ডিমেরিট পয়েন্টের জন্য হৃদয়কে প্রথমেই দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারতেন ম্যাচ রেফারি, যেটি না করে তাঁকে একরকম ছাড়ই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞাও মানেনি মোহামেডান ও হৃদয়। ১৭ এপ্রিল মিরপুরে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচটিতে হৃদয় না খেললেও ২০ এপ্রিল বিকেএসপিতে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে খেলেন। অথচ নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ওই ম্যাচেও তাঁর মাঠের বাইরে থাকার কথা ছিল। হৃদয়ের শাস্তি কমানোর জন্য মোহামেডান সিসিডিএমে আবেদন করেছিল। কিন্তু টেকনিক্যাল কমিটি আবেদনে সাড়া না দিলে মোহামেডানের চাপে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটিই বাধ্য হয়ে হৃদয়ের শাস্তি কমায়। প্রক্রিয়াটি ছিল পুরোপুরি নিয়মবহির্ভূত কারণ, শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ারই নেই বিসিবির আম্পায়ার্স বিভাগের। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |