আনন্দ আর কষ্টের মার্চে পরিচালক শফিউল আলম বাবু'র জন্মদিন
সৌরভ সোহাগ
|
![]() আনন্দ আর কষ্টের মার্চে পরিচালক শফিউল আলম বাবু'র জন্মদিন মার্চ। বাবা নেই। জন্মদাতা বাবা এছহাক পাটোয়ারী পৃথিবীর জঞ্জাল ফেলে চলে গেছেন ওপাড়ে আর ঔরসজাত বাবা ঈশরাক আফ্রিদ অন্তিক চলে গ্যাছে উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া। দুটো ঘটনাই মার্চে। ঔরসজাত বাবা ২ মার্চ, আর জন্মদাতা বাবা গ্যাছে ২১ মার্চ। আবার এই ২১ মার্চেই নাকি আমার জন্ম, মা বলেছে! তাই কাগজে-কলমে লিখছি, আবার অনেকে পালনও করছে। অনেক পত্রিকার সাংবাদিক বন্ধু ও স্বজনরা ফলাও করে ছেপেছে পত্রিকায় ও ফেইসবুকে উইশ করে লিখেছে বিগত দিনগুলোতে, ২১ মার্চ উপস্থাপক, পরিচালক ও অভিনয়শিল্পী শফিউল আলম বাবু'র জন্মদিন। কিন্তু কেউ কি বুঝবে যে, জীবনের এই শেষ বেলাতে এসেও বাবার আঙ্গুল ধরে আমার হেটে বেড়াতে ভাল্লাগে। বাবার কাছে একটা চকলেট বা আইসক্রিমের বায়না করতে ভাল্লাগে। যেই অভাব কিছুটা হলেও পূরন করতাম আমার ঔরসজাত বাবার মাধ্যমে। সেও গত ২ মার্চ ২০২৫ ইং আমার কাছ থেকে ক্রোশ ক্রোশ মাইল দূরে চলে গ্যাছে জীবন গোছাতে, জীবন সাজাতে। তাতে আমার কোন আফসোস নেই, হতাশা নেই। আমি খুশি, ভীষণ খুশি, ছেলে আমার বড় হবে, অনেক বড়, কিন্তু তবুও বুকের ভেতর কেবলই হাহাকার, কেবলই শুন্যতা, কেবলই ব্যাথা অনুভব করি। কাউকে ঠিকমতো বলতেও পারিনা। কারন আমার বিশ্বাস ভালোবাসা আর কষ্ট কাউকে দেখাতে হয় না, দেখাবার জিনিস নয়। এতো হীরের গহনা বা মনি-মুক্তা নয় যে দেখলেই কেউ ভীষণ খুশি হবে বা আনন্দে বিহ্বল হবে বা কষ্ট পাবে। একটা জীবনে একজন মানুষের কতোইবা চাওয়া থাকতে পারে। স্বপ্নও ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যায়, ভাঙ্গেতো কত কিছুই-নদীর পাড়, দালান-কোঠা, নিয়ম-কানুন, পারিবারিক-সামাজিক বন্ধন। তবু্ও আমরা আবারও স্বপ্ন দেখি, আবারও সাজাই আমাদের যাপিত জীবন। একদিন আমিও চলে যাবো দূরে-বহুদূরে, লোকালয়ের বাইরে, দৃষ্টির অন্তরালে। সেইদিন যেন আমাদের সন্তানেরা প্রার্থনায় বসে দু'হাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে- হে দিন দুনিয়ায় মালিক, আমার বাবা-মা'কে ভালো রেখো, যত্নে রেখো। আরতো কিছু চাইবার নেই। ভালো থাকুক সব বাবা-মায়েরা, ভালো থাকুক সব সন্তানেরা।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |