ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া জবাব দেবে ইউরোপ
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া জবাব দেবে ইউরোপ আগের দিন বিদেশি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ করারোপ করে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদেও এমনই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি।-খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের। এই শুল্কারোপের কারণে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা থেকে কিছুটা স্বস্তি পাবেন মার্কিন ধাতব ব্যবসায়ীরা। কারণ এতে তারা অনেক বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। সোমবার দেশটির ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের শেয়ারের দামও বেড়ে গেছে। ভন ডের লিয়ন বলেন, ‘ইউরোপের স্বার্থ সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ব্যবসায় শুল্ক খারাপ, কিন্তু ভোক্তাদের জন্য সেটা আরও খারাপ। ইউরোপের ওপর অন্যায়ভাবে কর চাপিয়ে দেওয়া হলে জবাব দেওয়া হবে—অনেক কঠোর ও সমানুপাতিক পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাভ শলজ পার্লামেন্টে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের জন্য বিকল্প কোনো পথ খোলা না রাখে, তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দেবে।’ বাণিজ্য যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষকেই খেসারত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে ইউরোপ কী ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেবে, তা স্পষ্ট করেনি। এরআগে ২০১৮ সালে ইস্পাতের ওপর শুল্কারোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তখন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত মোটরসাইকেল, বোরবন হুইস্কি, পিনাট বাটারসহ বিভিন্ন পণ্যে পাল্টা করারোপ করেছিল ইইউ। এভাবে রাজস্ব আরোপ করা হলে তাতে দুপক্ষের জন্যই হীতে বিপরীত ফল আসবে বলে মনে করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মারকোস সেফকোভিক। তিনি বলেন, আটলান্টিক মহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যকার ব্যাপক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্কের কারণে যে গভীর ও সমন্বিত উৎপাদন চেইন তৈরি হয়েছে, সেটা বিবেচনায় নিলে এই শুল্কারোপ ভালো ফল দেবে না। মারকোস সেফকোভিক বলেন, ‘আমাদের শ্রমিক, ব্যবসা ও ভোক্তাদের আমরা রক্ষা করবো। যদিও এটা আমাদের পছন্দনীয় পথ না, আমরা গঠনমূলক আলোচনার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিশীল থাকব। আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কাজেই দুপক্ষের স্বার্থরক্ষা করে একটি সমাধানের পথ বের করতে হবে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের হিসাবে, দুপক্ষের বাণিজ্যের আকার হবে এক লাখ ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের, যা বিশ্ব বাণিজ্যের ৩০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। মারকোস সেফকোভিক বলেন, ‘এই করারোপে দুপক্ষের জন্যই ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |