ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
৪ বছরেও শেষ হয়নি ১২ টি বিদ্যালয়ের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ
আনিসুর রহমান, মাধবপুর
প্রকাশ: Saturday, 30 November, 2024, 3:42 PM

৪ বছরেও শেষ হয়নি ১২ টি বিদ্যালয়ের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ

৪ বছরেও শেষ হয়নি ১২ টি বিদ্যালয়ের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ

ঠিকাদারের খামখেয়ালীপনা আর সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি না থাকায় মধবপুরে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের  (পিইডিপি ৪) আওতায় ১২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ গত ৪ বছরেও শেষ হয়নি।কবে শেষ হবে তা জানে না কেউ।

জানা যায় ২০২১ সালে মাধবপুর উপজেলার ১৪ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়।৪ বছরে সাকুচাইল ও মনতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের দুটি  শিক্ষা প্রতিষ্টানের  কাজ শেষ হলেও অন্য ১২ টি বিদ্যালয়ের কাজ ঝুলিয়ে রেখেছে ঠিকাদার।

প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬০ লাখ টাকা।সেই হিসাবে ১৪ টি বিদ্যালয়ের জন্য ৮ কোটি ৪০ টাকা টাকা বরাদ্দ হয়।প্রতিটি বিদ্যালয়ে বিদ্যমান ভবনে বাড়তি ৩ টি ফ্লোর স্থাপনের লক্ষ্যে উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধবপুর উপজেলার কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ট্রেডার্স ও মেসার্স গোলাম ফারুক নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে জানা গেছে দুটি প্রতিষ্টানেরই মালিক আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি।
২০২১ সালে বিদ্যালয়গুলোতে উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারন কাজ শুরুর পর কোনোটিতে একটি কোনোটিতে দুটি ফ্লোরের কাঠামো ও ছাদ নির্মানের পর কাজ আর অগ্রসর হয়নি।দফায় দফায় ঠিকাদার কাজ ফেলে লাপাত্তা হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রসারণ কাজের বেলায় ঠিকাদারের লোকজন একাধিকবার কাজ ফেলে লাপাত্তা হয়ে যায়।বিদ্যালয়টিতে সম্প্রসারন কাজের অন্তত ৫০ ভাগ কাজ এখনো বাকী রয়েছে।এ অবস্থায় সপ্তাহ খানেক আগে ঠিকাদারের লোকজন একগাড়ী বালি নিয়ে এসে আবার কাজ শুরু করে দ্রুতই শেষ করা হবে বলে জানালেও দুই-তিন দিন পরে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে উধাও হয়ে যায়।
উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের আওতায় থাকা শাহপুর (উঃ) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,উত্তর খড়কি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,শিমুলঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,আউলিয়াবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,রসুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,পুরাইখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,খাটুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,বুল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,সুরমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,উত্তর বেজুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াপাড়া চা বাগান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধবপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ কবে শেষ হবে তা কেউ জানেন না।
ঠিকাদার আবুল কালামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 
উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধা জানান, 'প্রকল্পের মেয়াদকাল ৯ মাস।এ মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে।ঠিকাদার প্রদত্ত জামানতের টাকার মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।ঠিকাদার যে পরিমান কাজ করেছে সেই পরিমান বিলও উত্তোলণ করে নিয়েছে।আমি এখানে কিছুদিন আগে মাত্র যোগ দিয়েছি।খোঁজখবর নিয়ে উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পের এই বেহাল দশা দেখে হতাশ হয়েছি।এখন ঠিকাদারকে তাগাদা দেওয়া ছাড়া কিছু করতে পারছি না।'


� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status