ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
মঙ্গলবার ৮ অক্টোবর ২০২৪ ২৩ আশ্বিন ১৪৩১
কে এই নিয়াজ আহমেদ খান
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Monday, 26 August, 2024, 6:34 PM
সর্বশেষ আপডেট: Sunday, 1 September, 2024, 3:28 PM

কে এই নিয়াজ আহমেদ খান

কে এই নিয়াজ আহমেদ খান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তাকে উপাচার্য নিয়োগ দিতে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি বলে জানা গেছে। ঢাবির ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ড. নিয়াজ। 

ঢাবির উপাচার্য হওয়ার আগে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এর উপ-উপাচার্য ও উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক (গ্রেড-১) ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অফ গভর্নেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্টে এর সিনিয়র একাডেমিক এডভাইজার এবং সেন্টার অফ রিসোর্সেস এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অধ্যাপক ড. খান মর্যাদাপূর্ণ কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মাননাসহ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণা সম্পাদন করেন। তিনি দু'শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইয়ের রচয়িতা। তার তত্ত্বাবধানে বর্তমানে দেশে এবং দেশের বাইরের ১৭ জন পিএইচডি গবেষক রয়েছেন।

শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইন এলিজাবেথ হাউজে  'দক্ষিণ এশীয় ফেলো', ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের 'রিসার্চ ফেলো', মিশরের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন কায়রোতে 'ডিস্টিংগুইসড ভিজিটিং রিসার্চার', এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ইউমেনের 'ডিস্টিংগুইসড ভিজিটিং প্রফেসর', চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের 'অধ্যাপক', থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির 'এশিয়ান রিসার্চ ফেলো' এবং অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভারসিটির 'ভিজিটিং  স্কলার' হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।এছাড়াও তিনি বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আমেরিকান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, যুক্তরাজ্য সরকারের সোয়ানসি-বে রেশিয়াল ইকুইটি কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রকল্প ও কর্মসূচিতে উপদেষ্টা ও পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক ড. খান মর্যাদাপূর্ণ কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মাননাসহ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণা সম্পাদন করেন। তিনি দু' শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইয়ের রচয়িতা। এছাড়াও তার তত্ত্বাবধানে বর্তমানে দেশে এবং দেশের বাইরের ১৭ জন পিএইচডি গবেষক এবং ৮ জন এমফিল গবেষক গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান নিয়মিতভাবে সরকারের উচ্চপর্যায়ে ও নাগরিক সমাজের বিভিন্ন কমিটি এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে সরব ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক, গবেষণা নির্দেশক ও শিক্ষা  উপদেষ্টা হিসেবে প্রধান জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন: ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পরিকল্পনা ও  উন্নয়ন একাডেমি, ফরেন সার্ভিস একাডেমি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বন একাডেমি, আর্মি আর্টিলারি  সেন্টার এন্ড স্কুল এবং বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি একাডেমিতে দায়িত্ব পালন করছেন ।এছাড়াও তিনি আরণ্যক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এর বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের চেয়ারম্যান ।

অধ্যাপক নিয়াজ খানের পিতা ড. শফিক আহমদ খান অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন এবং গত শতকের ষাটের দশকের প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণ রসায়ন বিভাগ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ইউরোপের সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিস্টিংশনসহ ডি.এস.সি ডিগ্রী অর্জন করেন।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলা লোহাগাড়া উপজেলার বিখ্যাত চুনতি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্র-পিতামহ খান বাহাদুর নাসির উদ্দিন খান ও অবিভক্ত ভারতের একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন। পিতামহ কবীর উদ্দিন আহমেদ খান ছিলেন আসাম-বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের  ডেপুটি কালেক্টর ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। এ কারণে, অত্র এলাকায় তাদের বাড়িটি 'ডেপুটি বাড়ি' হিসেবে বিশেষ পরিচিত লাভ করে। অধ্যাপক নিয়াজ খানের পিতা ড. শফিক আহমদ খান অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন এবং গত শতকের ষাটের দশকের প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণ রসায়ন বিভাগ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ইউরোপের সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিস্টিংশনসহ ডি.এস.সি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ শিল্প ও গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআই আর) এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রূপে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন পাকিস্তান সুপিরিয়র  ফরেস্ট সার্ভিসে, পরবর্তীতে বিসিএস (বন) যোগদান করেন এবং বন সংরক্ষক হিসেবে চাকুরীরতা অবস্থায় ১৯৯২ সালে ইন্তেকাল করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইনস্টিটিউট অফ ফরেস্ট্রি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

তিনি নিয়মিত একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি বিশেষায়িত ও পেশাগতা দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং যুগপোযোগী রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট থেকে ডিপ্লোমা ইন পার্সোনাল ম্যানেজমেন্টে (প্রথম শ্রেণীতে প্রথম) এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলস- সোয়ানসি থেকে ডিপ্লোমা ইন ভলেন্টারি এন্ড কমিউনিটি অরগানাইজেশন্স (ডিস্টিংশন) ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলস-ল্যাম্পিটার থেকে প্রফেশনাল সার্টিফিকেট ইন ইন্টারপারসনাল স্কিলস ফর ভলান্টিয়ার (ডিস্টিংশন) অর্জন করেন।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status