মানারাতকে শীর্ষ দশে পৌঁছানোই আমার টার্গেট
মজিবুর রহমান পান্না
|
২০০১ সালে ঢাকার গুলশানে যাত্রা শুরু হয় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির। বর্তমানের স্থায়ী ক্যাম্পাস ২০১৭ সালে আশুলিয়ার মডেল টাউনে চালু হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে মাননীয় রাষ্ট্রপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানকে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্বে নিয়োগ দেন। মানারাতের শিক্ষা, গবেষণা, চালু কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয় নতুন সময়-এর সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মজিবুর রহমান পান্না। নতুন সময়ঃ ২০০১ সালে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তার যাত্রা শুরু করেছিল, ২৩ বছরের এই পথচলায় আপনাদের অর্জনগুলো কিকি? ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানঃ মূলতঃ বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্বদ্যিালয়ের যাত্রা শুরু হয় নব্বই দশকে। ৯২তে এমেন্ডমেন্ট হয়ে ৯৩ তে প্রথম যাত্রা শুরু হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালে ১৬তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তার যাত্রা শুরু করে। এখন ১০৭টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে যার মধ্যে কার্যকর আছে ৬০টির মতো। আর কোনো কোনোটি বন্ধ হয়ে গেছে। সেই দীর্ঘ পথচলায় আমরা গত ২১শে মে ২৩ বছর পূর্ণ করে ২৪ বছরের যাত্রা শুরু করেছি। বলা যেতে পারে এর যাত্রা প্রায় ২ যুগ। এই ২ যুগে মানারাত আট হাজারেরও বেশি গ্র্যাজুয়েট বের করেছে। শুরুতে ৩টা ডিপার্টমেন্ট ছিল অনুমোদন ছিল ৫টার। ৩টা ডিপার্টমেন্ট নিয়ে শুরু করে ক্রমান্বয়ে নতুন নতুন ডিপার্টমেন্ট যুক্ত করা হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩টি অনুষদের অধীনে ৮টি স্নাতক ও ২টি স্নাতোকোত্তর প্রোগ্রাম চালু আছে। এগুলোর মধ্যে বিবিএ, বিএ (অনার্স) ইন ইংলিশ, সিএসই (রেগুলার ও ইভিনিং), ফার্মেসি আছে সিএসই আছে, ইইই আছে উল্লেখযোগ্য। আমাদের জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ যে ডিপার্টমেন্ট আছে সেটির বয়স বেশিদিন নয় তারপরও বিভিন্ন জায়গায় দেশি-বিদেশি প্রায় ২৩টার মতো মিডিয়াতে আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা কাজ করছে। আর আমাদের ফার্মেসির গ্র্যাজুয়েটরা ইবনে, ইনসেপ্টা এবং বেক্সিমকোসহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত আছে। দেশের বাহিরেও তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। গবেষণাও করছে। আমাদের যাত্রা শুরু যে ডিপার্টমেন্ট নিয়ে অর্থ্যাৎ বিবিএ। বিবিএরও বেশ কিছু এলামনাই আমাদের দেশের বড় বড় উদ্যোক্তা। আমি যদি নাম বলতে চাই- জাবের এন্ড জুবায়েরের নাম শুনেছেন নিশ্চই যারা আজ দেশের বড় উদ্যোক্তাদের কাতারে রয়েছে। এই জাবের মানারাতের গ্র্যাজুয়েট। আমাদের ইংরেজি, ইসলামিক স্টাডিজ এবং ল’ ডিপার্টমেন্টও বেশ সাউন্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আজহার ইসলাম এখানে এসে ল’ ডিপার্টমেন্টের হাল ধরেছেন। আমাদের সাবেক প্রধান বিচারপতি প্রফেসর আব্দুর রউফ এখানে এসে ল’ এর ক্লাস নিচ্ছেন। কয়েকজন এটর্নী জেনারেল এখানে ক্লাস নেন। সেদিক থেকে আমাদের ল’ ডিপার্টমেন্ট টাও খুববেশি উল্লেখযোগ্য। সব মিলিয়ে মানারাতের ২৪ বছরের যাত্রা একেবারে বর্ণাঢ্য বলা না গেলেও বিবর্ণ নয়, রঙিন বলা চলে। নতুন সময়ঃ শাররীক, মানসিক ও নেতৃত্ব বিকাশে মানারাতের উল্লেখযোগ্য এক্সট্রা-কারিক্যুলার বা সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমগুলো কি কি? ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানঃ আপনারা জানেন যে এগুলোকে সহায়ক কারিক্যুল্যাম বা কো-কারিক্যুল্যা বা এক্সট্রা কারিক্যুলার বলা হতো। এখন সরকার এবং শিক্ষাবিদরা এটিকে কো-কারিক্যূল্যার হিসেবে গুরুত্ব দেয়। আমরাও সেই হিসেবে গুরুত্ব দেই। আমাদের এখানে ১৪টা ক্লাব রয়েছে। এর মধ্যে ওয়েলফেয়ার ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, ডিবেট ক্লাব এবং ল্যাংগুয়েজ ক্লাবও রয়েছে। সম্প্রতি আমরা লিটারেচার ক্লাব নামে আরো একটি ক্লাব চালু করেছি। আমরা একটা কর্নারও করে দিয়েছি আমাদের আশুলিয়া ক্যাম্পাসে। সেখানে সাহিত্য আড্ডা হয়। বছরের বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করি। ২০২৩ এর ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরা সাংস্কৃতিক সপ্তাহ আয়োজন করেছিলাম। সেখানে বই মেলা ছিল। দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিকগণ এসে আলোচনা করেছিল। কবিতা পাঠ করেছেন তারা। আমরা ইংরেজি ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছি, ঈদের পর বৈশাখী উৎসব এবং ঈদ পূনর্মিলনী মিলিয়ে আমরা একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান করেছি আশুলিয়া ক্যাম্পাসে। আমার ধারণা যে, মানারাতের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় উৎসব। সেখানে আমাদের অধিকাংশ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) মেম্বারগণও যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে মেলা ছিল, মেলায় নাগর দোলা ছিল। বাংগালির যে গ্রামের ঐতিহ্য- খই, মোয়া মোরকি এগুলোর স্টলও ছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গম্ভীরা, নাটিকা, লোকোসংগীত, আবৃত্তি সবই ছিল। সবাই সকাল ৯টা থেকে শুরু করে (মাঝখানে মধ্যাহ্ন বিরতি ছাড়া) সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিল। সব মিলিয়ে খুবি চমৎকার জাকালো আয়োজন ছিল। তাছাড়া আমরা মার্চে আয়োজন করেছি স্পোর্টস কার্নিভাল, ফেব্রুয়ারিতে করেছি স্প্রিং ওরিয়েন্টেশন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অডিটরিয়ামে আয়োজন করেছি নবীনবরণ। সব মিলিয়ে আমাদের কো-কারিক্যুলার এক্টিভিটিজ প্রতিমাসেই অব্যাহতভাবে চলছে। এই মাসেই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আছে সেখানেও আমাদের অংশগ্রহণ আছে। নারী দিবসে নগর ও নারী শিরোনামে যে জাতীয় বিতর্ক আয়োজন হয়েছিল সেখানেও মানারাত অংশগ্রহণ করে রানার আপ এর পুরস্কার নিয়ে এসেছে। আমাদের কো-কারিক্যুলার কার্যক্রম রেগুলার চলছে। যেগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের শারিরীক, মানসিক বিকাশে ও সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নতুন সময়ঃ গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় নতুন নতুন জ্ঞানের ক্ষেত্র তৈরি করে, মানারাতের এ যাবৎকালের উল্লেখযোগ্য গবেষণা কি? ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানঃ বিশেষকরে আমরা যারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের সবারই একটা আক্ষেপ বা ক্ষোভ আছে। এটা অস্বীকারের কোনো উপায় নাই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিন্ত সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশা-পাশি শিক্ষিত, দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে একটা বিরাট ভূমিকা রাখছে এখন। আমরা সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে প্রতিবছর যে পরিমান গ্র্যাজুয়েট তৈরি করি তার অর্ধেক যোগান দিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। যারা দেশে-বিদেশে কাজ করছে। বড় ধরণের ট্যাক্স দিচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় ১৫% ট্যাক্স। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা ডাবল ট্যাক্সও হয়। আমরা যারা স্টুডেন্ট রেভিনিউ পাচ্ছি সেখান থেকে যেমন ১৫% ট্যাক্স দিচ্ছি একইভাবে আমাদের প্রকিউরমেন্ট থেকেও ১৫% ট্যাক্স দিতে হয়। আমাদের শিক্ষকরা যে বেতন পাচ্ছে সেখান থেকে তাদেরও ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু সরকার কোনো ধরণের বাজেট দেয়না। অন্তত যদি গবেষণায় কিছু বরাদ্দ দিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাহলে আমরা গবেষণায় আরো উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারতাম । আমাদের শিক্ষার্থীদের একটা থিসিস পেপার লিখতে হয় ইন্টার্নিতে। সেটি তারা তাদের নিজস্ব অর্থায়নেই করে থাকে। এগুলো যদি কিছু বরাদ্দ থাকতো সরকার থেকে তাহলে তারা গবেষণায় আরো ভালো করতে পারতো। আরো নিবিড় মনোযোগ দিয়ে কাজগুলো করতে পারতো। নতুন সময়ঃ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গবেষণায় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বৈরিতা আছে কিনা? ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানঃ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তো এখন স্পন্সর পাচ্ছে। একুশ শতকের শিক্ষা ভাবনায় একটি কনসেপ্ট আসছে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়া কোলাবোরেশন। এ ধারণা পশ্চিমা দেশগুলো থেকেই এসেছে। পশ্চিমারা অনেক আগেই এগিয়েছে। আমরা এখন শুরু করেছি। সে সুবাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারের সাথে সু-সম্পর্কের কারণে ও নানা ধরনের যোগাযোগের কারণে ইন্ডাস্ট্রি স্পন্সরশিপ প্রচুর পাচ্ছে সে তুলনায় আমরা অতোটা পাচ্ছি না। তাছাড়া গবেষণায় আমাদের জন্য বরাদ্দতো নাই-ই। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আমাদের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সাথে রিলেটেড ইন্ডাস্ট্রিগুলোর সাথে যেমন ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের রিলেটেড ফার্মাসিটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, বিবিএ বা বিজনেস ডিপার্টমেন্টের সাথে রিলেটেড বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা ও বিজনেস প্রতিষ্ঠানের এবং জার্নালিজম ও মিডিয়া স্টাডিজের সাথে রিলেটেড ইন্ডাস্ট্রি যেমন বিভিন্ন মিডিয়া হাউজগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। কিছু জায়গায় সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, কেউ কেউ আমাদের আশ্বাস দিচ্ছে আবার কেউ কেউ তাদের সীমাবদ্ধতা দেখাচ্ছে। নতুন সময়ঃ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয় নিবন্ধিত আছে। আপনারা কাদের সমকক্ষতা অর্জন করেছেন বা কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেদের তুলনা করতে চান? ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানঃ আমরা আমাদের কারো সাথে তুলনা করতে চাই না। ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন বেরিয়েছে সেখানে মানারাত ১৪তম অবস্থানে ছিলাম। আমরা আশা করছি এটি ৫ এর ভিতরে নিয়ে আসা যায় কিনা। আমার টার্গেট হলো, আমি যতদিন আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে মাননীয় রাষ্ট্রপতি আমাকে ৪ বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। এই ৪ বছরে আমার টার্গেট হলো বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তাদের মধ্যে মানারাতকে ১০ এর মধ্যে নিয়ে আসা। নতুন সময়ঃ ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনদিক থেকে মানারাতকে আলাদা করতে চান? ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানঃ ১০৭টি নয়, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মানারাত অনন্য। কারণ মানারাতের স্লোগান হচ্ছে “দ্যা সেন্টার অব একাডেমিক এন্ড মোরাল এক্সিলেন্স”। আমরা এই মোরালিটিকে মেইন ফোকাসে রাখি। আমরা বিশ্বাস করি এটি এখন সত্য ও প্রমাণিত যে, শিক্ষিত হলেই হবে না, তার মোরালিটি থাকতে হবে। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, এই ধারণা থেকে আরো সামনে এসে বলতে হবে নৈতিক শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আমরা দেখতে পাচ্ছি যত দূর্নীতি হচ্ছে, তা অশিক্ষিত কেউ করছে না। অর্থ্যাৎ মোরাল শিক্ষাটা নেই বলেই এটা হচ্ছে। মানারাতের জন্মই হয়েছে এই মোরালিটির স্লোগান নিয়ে। এখনো আমরা শিক্ষার পাশাপাশি মোরালিটি টাকে মেইন ফোকাসে রাখছি। এই দিক থেকে মানারাত সবার থেকে অনন্য। নতুন সময়ঃ প্রতিষ্ঠার ২৩ বছরের মাথায় এসে মানারাত কি ধরনের সক্ষমতা অর্জন করেছে? ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানঃ মানারাত আসলে নানান ঘাত-প্রতিঘাত পার হয়ে এতোদূর এসেছে। তার পথচলাটা এতো মসৃণও ছিলনা। মানারাত এর যে বিওটি বা বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সেটা অন্য ইউনিভার্সিটি থেকে আলাদা। কারণ এটি কোনো মালিকানা বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নয়, পুরোটাই চ্যারিটি অব বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। সেদিক থেকে মানারাত বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থেকে যে পরিমান মনোযোগ পাবার দরকার ছিল, সে পরিমান পায়নি। যদি সেটি পেতো, নার্সিং পেতো তাহলে মানারাত আরো এগিয়ে যেতো। এখন নতুন যে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ আছে আমরা এখন চেষ্টা করছি এদেরকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে। তাদের মনোযোগ ও সহযোগীতা দুটোই আমরা পাচ্ছি। মনে হয় যে সামনের দিকটা আরো গতিশীল হবে। বর্তমান বোর্ড অব ট্রাস্টিজ আমার কাছে খুব সুন্দর একটা কম্বিনেটেড বোর্ড অব ট্রাস্টিজ মনে হয়েছে। এখানে জনপ্রতিনিধি যেমন আছে, শিক্ষাবিধ যেমন আছে, আবার প্রশাসনিক দক্ষ লোকও আছে, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিও আছে। আমাদের চেয়ারম্যান একজন মেয়র, তিনি হচ্ছেন জন প্রতিনিধি। চারজন মেম্বার আছেন এমপি। তারাও জনপ্রতিনিধি। ৪ জন আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, তার মধ্যে ২ জন ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর। পেশাজীবীদের প্রতিনিধি আছেন, সব মিলিয়ে খুব চমৎকার একটা কম্বিনেশন হয়েছে এই বিওটি’র। এটি আমার কাছে মানারাতের একটি অন্যতম সক্ষমতা বলে মনে হচ্ছে। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |