জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী থেকে বাংলাদেশকে বাদ দিতে নতুন ষড়যন্ত্র
বিপ্লব বিশ্বাস
প্রকাশ: Friday, 24 May, 2024, 12:49 AM
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী থেকে বাংলাদেশকে বাদ দিতে নতুন ষড়যন্ত্র
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী থেকে বাংলাদেশী সৈনিক ও সেনা কর্মকর্তাদের বাদ দিতে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে এবার আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট মহলের পক্ষ থেকে।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও র্যাবকে নিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জার্মান ভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে (ডিডব্লিউ)। এ সংস্ক্রান্ত একটি ভিডিও তারা ইউটিউবেও প্রচার করেছে।
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের ওপর একটি প্রভাবশালী দেশের দেয়া নিষেধাজ্ঞার পরের দিন এই বিতর্কিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করল তারা। এটাকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে বাদ দেয়ার নতুন ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
মঙ্গলবার (২১ মে) ‘হিউম্যান রাইটস অ্যাবিউজারস গো অন ইউএন মিশনস’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি প্রচার করে ডিডব্লিউ। প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছে বিতর্কিত সাংবাদিক তাসনিম খলিলের প্রতিষ্ঠান নেত্র নিউজ। বাংলাদেশিদের দিয়ে পরিচালিত যেসব সংস্থা পশ্চিমা বিশ্বের একটি দেশের টাকা পায় তাদের মধ্যে অন্যতম এই নেত্র নিউজ। এই টাকা দেয় ওই পশ্চিমা দেশটির একটি সংস্থা।
ডয়েচে ভেলের রিপোর্টের শুরুতে জাতিসংঘ মিশনের জন্য বাংলাদেশের সেনা ও পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কিছু ভিডিও দেখানো হয়। এরপরই তারা শুরু করে উদ্দেশ্যমূলক বয়ান। কিছু বক্তব্য গলার স্বর পরিবর্তন করে প্রচার করে ডয়েচে ভেলে দাবি করছে, তারা এক সময় র্যাবের কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তাদের চেহারা দেখানো তো দূরের কথা নাম পরিচয় কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের দেখানো হয়নি কিংবা পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু প্রশ্নতো উঠতেই পারে, এমন কোনও ব্যক্তি কি আদৌ আছেন? নাকি পুরোটাই কারও মস্তিস্ক প্রসূত প্লট? এসব বিবেচনায় কেউ কেউ বলছেন, এই ভিডিওকে কল্পকাহিনী কিংবা ফিকশন বলা যেতে পারে, কোনওমতেই তথ্যচিত্র কিংবা ডকুমেন্টারি নয়।
প্রামাণ্যচিত্রে বিতর্কিত একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এশিয়া বিভাগের উপপরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলীকে বলতে দেখা গেছে, ‘যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে তাদের পাঠানো উচিত না।’
প্রতিবেদনের শেষ দিকে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কায় তামিল বিদ্রোহ দমনের কিছু ছবি দেখিয়ে সে সময় মানবধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত শাভেন্দ্রা সিলভাকে দেশটির সেনা প্রধান করার কারণে তাদের জাতিসংঘ শান্তরক্ষী মিশনে স্থগিত হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা কি কখনও বাংলাদেশে হয়েছে? হয়নি। তাহলে কি শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সৈন্য পাঠানো বন্ধের অপতৎপরতায় নেমেছে একটি মহল?
১৯৮৮ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধে মিলিটারি অবজারভারস গ্রুপে একদল কর্মকর্তার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। এই উজ্জ্বল অংশগ্রহণের ৩৭ বছর হতে চলেছে। এরপর থেকে বাংলাদেশ সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে জাতিসংঘ মিশনে কাজ করে চলেছে। জাতিসংঘে ব্লু হেলমেটের প্রশংসা এখন বিশ্বব্যাপী। মিশনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশের বীরত্ব ও ত্যাগের ইতিহাসও লম্বা। ২০০৫ সালে কঙ্গোতে ৯ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ পর্যন্ত মোট ১৬৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা আফ্রিকার দেশগুলোতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে চলেছেন। পেশাদার মনোভাব, অবদান ও আত্মত্যাগের ফলে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান সুসংহত করেছে বাংলাদেশ। গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য বিভিন্ন সময়ে স্বীকৃতিও মিলেছে জাতিসংঘের।
কিন্তু এতোসব ইতিবাচক দিক থাকার পরেও ডয়েচে ভেলে ও নেত্র নিউজ কোন উদ্দেশ্যে, কাদের লাভের জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে? আগামী ২৯ মে শান্তিরক্ষী দিবসের আগে আগে ওই পশ্চিমা দেশের সহায়তায় এ ধরনের রিপোর্ট করে তবে কি বাংলাদেশের জাতিসংঘ মিশন বন্ধের পাঁয়তারা চলছে?
এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার, পশ্চিমা বিশ্বের একটি দেশ জিল্লুর রহমানের সেন্টার ফর গভরন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)-কে অর্থায়ন করছে গণতন্ত্র বিকাশের কথা বলে। আর তাসনিম খলিলের নেত্র নিউজকে ফান্ডিং করছে আইনি সহায়তা ও মানবাধিকারের কথা বলে। আর বিতর্কিত এ দুটো সংস্থাই জেনে বুঝে টাকার কাছে জলাঞ্জলি দিচ্ছে দেশের সুনাম ও স্বার্থ।
এদিকে অপ্রমাণিত ও খুবই দুর্বল তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি ডিডব্লিউ'র প্রতিবেদনটিকে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, বদমতলব নিয়ে উসকানিমূলক এ ধরনের খবর প্রচার করা হচ্ছে। আর এজন্য অনেক আগে থেকেই নিজেদের প্রস্তুত করেছে ডিডব্লিউ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ থেকে লোক না নেয়ার ষড়যন্ত্র অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এ ষড়যন্ত্র অতীতে ছিল, আগামীতেও থাকবে। একটি পশ্চিমা বিশ্বের দেশের নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব সেটা করে আসছে।’
২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতির সময় থেকে এটা চলে আসছে জানিয়ে এই প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে অর্থ দিয়ে এসব করানো হচ্ছে। তারা যেখান থেকে অর্থ পায়, সেগুলো সবই এনজিও। তারা প্রায় সবাই বিদেশি অর্থে পরিচালিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়া নিউজ করা হয়।’
ডিডব্লিউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করার জন্য গত ২৩ বছরে বাংলাদেশকে ২৫ কোটিরও বেশি মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ অর্থ পেয়েছে। এটা কোনো অনুদান না। জাতিসংঘ থেকে সেবার মূল্য নিয়েছে বাংলাদেশ, এটা খয়রাত না।’
সিনিয়র সাংবাদিক ও গবেষক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের যে বাহিনীগুলো বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালায়, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হিসেবে জাতিসংঘ তাদের মুখোশ খুলে দেবে এবং প্রকৃত তথ্য ও সত্য বলে দেবে।’
র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং জেনারেল আজিজের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা গত ১৫ মে পশ্চিমা একটি দেশের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও উঠে আসে।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ জানান, তারা র্যাব,শ্রম আইন ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন।
“র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাটি বিশেষভাবে দেখা হচ্ছে, যেহেতু এটি আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে। আমরা এটি প্রত্যাহার করার বিষয়ে আলোচনা করেছি তবে এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়।’’
তিনি আরো বলেন, "সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন যে তার সফরের উদ্দেশ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়া, ঠিক যেমনটি ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর বলেছিলেন সেই দেশটির প্রেসিডেন্ট।’
ওই পশ্চিমা দেশের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরের আগে সেই দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছিল, তার এই সফর ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করবে।
হাসান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ওই পশ্চিমা দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় তার একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং তার সফরের উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বাস পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করা।
কিন্তু তারপরে অবসর নেয়ার তিন বছর পর সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ওপর দুর্নীতি, ঘুষ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গত ২০ মে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরই প্রকাশিত হয় ডিডব্লিউ প্রতিবেদন। বিতর্কিত মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এশিয়া বিভাগের উপ-পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেইসব কর্মকর্তা থাকতে পারে না যারা এই ধরণের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘণে জড়িত। এতে শান্তিরক্ষার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়।
এইচআরডব্লিউও সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য জোরালোভাবে ও প্রকাশ্যে তোড়জোড় করেছিল। গত বছর জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষীদের স্ক্রিনিং বাড়ানোর জন্য জনসমক্ষে আহ্বান জানাতে পিছপা হয়নি। এর পর পরই যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলাম প্রথমবারের মতো ১০ বছরে ঢাকায় সমাবেশ করে।
অভিযোগ আছে, বিএনপির অপপ্রচারে লবিস্টরা বিদেশি বিভিন্ন সংস্থাকেও প্রভাবিত করছে। আর এই অপপ্রচারের ফাঁদে পড়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
সংগঠনটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়োগের ক্ষেত্রে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছিল। গত বছরের ১২ জুন সংগঠনটির পক্ষ থেকে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের প্রতি এই আহ্বান জানানো হয়ে।
এইচআরডব্লিউ দাবি করে, বাংলাদেশে ক্ষমতার অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যেন দেশের বাইরে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ না নিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত নীতিমালা ব্যর্থ হয়েছে। শুধু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় যাচাইবাছাই করে জাতিসংঘ।
র্যাবের প্রসঙ্গ এনে এইচআরডব্লিউ বলে, জাতিসংঘের উচিত কোনও বাংলাদেশি কর্মকর্তা র্যাবের সঙ্গে জড়িত থাকলে, তা প্রকাশ করা এবং বাহিনী সংশ্লিষ্ট কাউকে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদানে বিরত রাখা। শুধু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নয়, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সব সদস্যের মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বিষয় যাচাইবাছাই করারও আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
গত বছরের জুনে ডিডব্লিউ র্যাবকে নিয়ে আরেক তথ্যচিত্র প্রকাশ করে এবং জাতিসংঘের মিশন থেকে এর সদস্যদের বাদ দেয়ার জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা করে। এছাড়া দোহাভিত্তিক আল-জাজিরার ‘অল প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে তাদের। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে কল্পনাপ্রসূত খবর প্রকাশ করা হয়।
সামাজিক মাধ্যমে ‘গুজবগুরু’ নামে পরিচিত তাসনিম খলিল। নেত্র নিউজের এ সম্পাদক ২০০৬ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পরামর্শদাতা ছিলেন। ওই পশ্চিমা দেশে পলাতক বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুর্নীতিবাজ সাবেক কর্মকর্তা শামসুল আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘গুজব সেল’-এর অর্থায়নে তিনি কাজ করছেন বলে অভিযোগ আছে। বাংলাদেশিদের দিয়ে পরিচালিত যেসব সংস্থা ওই পশ্চিমা দেশের টাকা পায় তাদের মধ্যে অন্যতম নেত্র নিউজ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই পশ্চিমা দেশের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন দেশে তৎপরতা চালায় সেই দেশটির এটি সংস্থা। এজন্য তারা অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন এবং সংস্থাকে ব্যবহার করে। একইভাবে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বিতর্ক উস্কে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই জাতিসংঘের শান্তিমিশনে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অবদানে কালিমা লেপনে তৎপর হয়ে উঠেছে তারা।