কাঁচা হলুদের ভালো-খারাপ
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() কাঁচা হলুদের ভালো-খারাপ জেনে নেয়া যাক কাঁচা হলুদের উপকারীতা সম্পর্কে- ১. প্রদাহের মতো জটিল সমস্যার বিরুদ্ধে প্রথমেই ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী সময়ে তা ভয়ানক হতে সময় লাগবে না। এমনকি এ কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে একাধিক ক্রনিক রোগ। তাই চিকিৎসকরা প্রদাহ প্রশমিত করতে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ২. ইদানীং দেখা যাচ্ছে, হার্টের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন ছোট বড় অনেকেই। তাই চিকিৎসকরা সবাইকে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আপনার হাতের কাছে উপস্থিত এক টুকরো কাঁচা হলুদ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। ৩. ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী একটি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে। তাই এই মারণরোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৪. আলঝেইমার একটি জটিল অসুখ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই জটিল অসুখ প্রতিরোধের কাজেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাঁচা হলুদ। তাই প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৫. কাঁচা হলুদের মধ্যে কিউকুমিন নামক একটি উপাদান রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বর্দ্ধন করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। ৬. কাঁচা হলুদ অস্থির স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে, যা শারীরিক দক্ষতা এবং সম্প্রেষণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ৭. কাঁচা হলুদে বিদ্যমান অ্যান্টি ওবেসিটি গুণ যা শরীরে বাড়তি মেয়াদ জমতে দেয় না এবং মেটালিজমের হাড় বাড়ায়। ফলে কাঁচা হলুদ শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে একটি কার্যকরী উপাদান। ৮. লিভার আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হলুদে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা যেকোনো ধরনের লিভারের চিকিৎসা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৯. হলুদ সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি সর্দি কাশির মতো সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১০. সানবার্ন, দাগ, রিংকেল থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপাদান হলো এই হলুদ। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার সাথে কাঁচা হলুদ মিক্স করে ব্যবহার করলে মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। উপকারী এই উপাদানে রয়েছে কিছু অপকারিতাও, জেনে নিন সেগুলো- ১. অতিরিক্ত হলুদ শরীর থেকে আয়রন শোষণ করে নেয়। তখন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। ২. হলুদে কিউকারমিন থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো এবং স্বাস্থ্যের দিক থেকেও উপকারী। কিন্তু বেশি হলুদ খেলে অ্যানিমিয়া হয়। তবে শুধুই যে অ্যানিমিয়া হবে তা নয়। ৩. তাছাড়া কিডনি স্টোন, রক্তপাতে সমস্যা হতে পারে। ৪. হলুদ দেহে আয়রন ভারসাম্যের জন্য দায়ী হেপসিডিন, পেপটাইডস সংশ্লেষণকেও বাধা দিতে পারে। এই সব কারণগুলি একসঙ্গে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় এবং হজমে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত হলুদ খেলে মাথা ধরা, ত্বকের সমস্যা এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও আলসার, লিভার বড় হয়ে যাওয়া, প্রদাহ এসবও হতে পারে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |