গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখবে যে গাছগুলো
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখবে যে গাছগুলো মানি প্ল্যান্ট বাতাস বিশুদ্ধ করতে মানি প্ল্যান্ট খুবই কার্যকর।এটি বাতাস থেকে একাধিক বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে পারে। শুধু তাই নয়, ঘরের ভেতরে থাকা নানা রকম দূষিত পদার্থ, যেমন-ফরমালডিহাইড, বেনজিন, জাইলিন এবং কার্বন মনোক্সাইড দূর করে ঘরকে সতেজ রাখে। এই গাছ পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণও তুলনামূলক সহজ। শুধু গাছটির পাতা বা কাণ্ড হলুদ হয়ে গেলে দ্রুত তা কেটে ফেলতে হবে। এলোভেরা এলোভেরা যে কেবল রূপচর্চায় উপকারী তা কিন্তু নয়। বরং এই পাতার ভেতরে থাকা জলীয় ওষধি উপাদান ত্বকে লাগালে নিমেষে ক্ষত বা পোড়ার জ্বালাপোড়া কমাতে পারে। এই গাছ ঘর শীতল রাখার পাশাপাশি বাতাসে তাপমাত্রা হ্রাস কমায়। এলোভেরার গাছ উজ্জ্বল আলোতে ভালো হয়। বস্টন ফার্ন শুধু ঘরের তাপমাত্রা কমানোই নয়, একই সঙ্গে হিউমিডিফায়ার ও পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে গাছটি। বায়ুতে উপস্থিত নানা রকম উদ্বায়ী জৈব যৌগসমূহকে দূর করে। তবে ফার্ন যেহেতু শীতল পরিবেশের গাছ, তাই এটি রাখতে হবে ছায়ায়, ঘন ঘন পানিও দিতে হবে। পিস লিলি পিস লিলির আছে অনবদ্য ফুলের শোভা। আর এই গাছের পাতাগুলোও বেশ বড় বড়। এ গাছটি যেমন চোখে শান্তি আনে, তেমনই গরমে বাতাস শীতল রেখে আরামও দেয়। পরিবেশ থেকে বিভিন্ন রকম বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ কমিয়ে আনে। গাছটি কেনার সময়ে মনে রাখবেন যে গাছে যত পাতা, সেই গাছ পরিবেশকে তত বেশি শীতল রাখে। তাই একটু বড় পাতা দেখে কেনা ভালো। পটহোজ ইনডোর প্ল্যান্ট কেনাই তো শেষ কথা নয়। সঙ্গে থাকে পরিচর্যার ঝামেলাও। যদি পরিচর্যার ঝামেলা এড়ানো উদ্দেশ্য হয়, তাহলে পটহোজের চেয়ে ভালো কিছু হতেই পারে না। এটি দেখতে খুব সুন্দর গাছ একইসঙ্গে বাতাস পরিশুদ্ধ করে ঘরের তাপমাত্রা শীতল রাখবে। তার জন্য দিনে একবার পানি দিলেই যথেষ্ট। উইপিং ফিগ উইপিং ফিগ গাছের আরেকটি নাম আছে। ফিকাস বেঞ্জামিনা বলেও ডাকা হয় এই গাছকে। প্রস্বেদনের কারণে এই গাছের পাতা থেকে পানি ঝরে। পাতার পানি ঝরার কারণে বাতাসে আর্দ্রতা তৈরি করে। তাই ঘরে রাখলে তাপমাত্রা যেমন শীতল থাকে তেমনি দেখতেও খুব সুন্দর। ঘরের ভেতরে খুব সুন্দরভাবে এই গাছগুলো বেড়ে উঠে এবং গাছে প্রচুর পাতা থাকে ফলে স্বেদনও বেশি হয়। এই গাছ বাতাসে কোনো ভারী ধাতুর উপস্থিতি থাকলে তা দূর করে। স্নেক প্ল্যান্ট সৌন্দর্য বর্ধন ও নানা উপকারের কারণে বাড়িতে এখন অনেকেই স্নেক প্ল্যান্ট লাগান। বিশেষ করে এই গাছ লিভিংরূম ও বেডরুমের জন্য উপযুক্ত। কারণ এই গাছটি অক্সিজেন শোষণ করে না। বরং অক্সিজেন ছেড়ে ঘরকে শীতল ও সতেজ রাখে। এটি অনেক রসালো এবং রাতে অক্সিজেন নিঃসরণ করে ফলে ঘরের বাতাস শীতল থাকে। এই কারণে গাছটির আরেকটি নাম রয়েছে, ‘মাদার ইন লস টাঙ’। এছাড়াও গাছটি বাতাস থেকে টক্সিন অপসারণের জন্যও পরিচিত। এই গাছগুলোও বাতাসে উপস্থিত ফরমালডিহাইড এবং বেনজিন শোষণ করে নেয়। স্পাইডার প্লান্ট গাছপ্রেমীদের খুব পছন্দের একটি গাছ হচ্ছে এই স্পাইডার প্লান্ট। খুব অল্প পরিশ্রমে আর সহজেই ঘরের ভেতরে এই গাছ বাঁচে। মাকড়সা যেমন ছায়ার প্রাণী, তেমনই এই গাছকেও ছায়ায় রাখতে হয়। মানে ঘরের ভেতরে রাখতে হবে। আর তাতেই এটি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বাতাস পরিশুদ্ধ করবে, কমিয়ে দেবে ঘরের উষ্ণতা। পাশাপাশি বাতাসে উপস্থিত ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ শোষণ করে নেয়। রাবার প্ল্যান্ট এই গাছের পাতাগুলো বড় বড় তাই ঘর ঠাণ্ডা রাখার ক্ষমতাও এদের বেশি। রাবার গাছ পরিবেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড দীর্ঘক্ষণ তাপ ধরে রাখে। আর ঘরে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘর দ্রুত গরম হয়ে যায়। এছাড়া উপকারী এই গাছটি বাতাসে উপস্থিত ফরমালডিহাইডকে শোষণ করে পরিবেশকে বিশুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে। ঘরের অক্সিজেন এবং উষ্ণতার মাত্রা বজায় রাখতে রাবার গাছ দারুন কার্যকর। গাছটির খুব বেশি যত্ন দরকার হয় না, মাঝে মাঝেই একটু পানি ছিটিয়ে দিলেই গাছটি দিব্যি বেঁচে থাকে। চাইনিজ এভারগ্রিন চাইনিজ এভারগ্রিন খুব সুন্দর একটি গাছ। এটি বাতাসের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে বাতাস পরিশুদ্ধ করার জন্য সুপরিচিত। এই গাছ অনেকগুলো একসাথে রাখলে নিজস্ব বায়ুমণ্ডলীয় বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে পারে। এর অনেকগুলো জাত রয়েছে। তবে ঘর ঠাণ্ডা রাখার জন্য ‘লাস ফলিয়েজ’ জাতের গাছগুলোর তুলনা হয় না। এরিকা পাম এরিকা পাম একটু বড় আকারের একটি ইনডোর প্ল্যান্ট। বাড়িতে জায়গার অভাব না থাকলে বসার ঘরে রাখতে পারেন। এটি তাল গাছের মতোই দেখতে। এরিকা পাম এক দিকে ঘর ঠাণ্ডা রাখে, আবার দেখতেও ভাল লাগে। শুধু বাড়ি নয়, এই গাছটি হোটেল, অফিস এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে সাজাতেও ব্যবহৃত হয়। বাম্বু পাম আরেকটি অপেক্ষাকৃত বড় আকারের ইনডোর প্ল্যান্ট বাম্বু পাম। এর বড় বড় পাতা খুব সহজেই চারপাশের উষ্ণতা শোষণ করে নেয়। তাই গ্রীষ্মে ঘর শীতল রাখতে কাজে আসতে পারে বাম্বু পাম। এই গাছের লম্বা পাতা এয়ার হিউমিডিফায়ার এবং পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও পরিবেশ থেকে বেনজিন ও ট্রাইক্লোরো ইথাইলিন দূর করতে সাহায্য করে। শুধু দিনে বেশ কয়েকবার পানি দিতে হবে।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |