আইসিইউ মানে জানেন না ভুয়া ডা. মুনিয়া, যা বলছেন নেটিজেনরা
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Friday, 29 March, 2024, 1:07 AM
আমি ভুয়া ডাক্তার না, আমি রিয়েল। আমি জাস্ট প্রতিবাদ করতে গিয়েছি সে কারণেই আমাকে ভুয়া ডাক্তার বলা হচ্ছে। বাচ্চা পাচার করত একটা চক্র। অনেকমাস ধরে আমি এমনটা দেখে যাচ্ছিলাম, এটা নিয়ে আমি লড়তে গিয়েছিলাম, তারাই আমাকে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে ধরিয়ে দিয়েছে। একটি মিডিয়ায় সাক্ষাতকারে এমনটাই বলছেন মুনিয়া ইসলাম রোজা।
তিনি দাবি করেন তাকে ধরে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। ভুয়া ডাক্তার হিসেবে স্বীকারোক্তি দিলে তবেই ছাড়া হবে। তাই বাধ্য হয়ে স্বীকারোক্তি দেন। শুধু তাই না, টেলিভিশনে তিনি ঘাবড়ে গিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি করেন।
মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি আসলে নার্ভাস হয়ে গেছিলাম তাই ওটি ও আইসিইউয়ের মানে বলতে পারিনি। এসময় সাংবাদিক ওটি মানে কি জানতে চাওয়া হয়। তিনি অপারেশন থিয়েটার বলতে পারলেও আইসিইউ, সিসিইউ কিংবা আরএক্স-এর মানে বলতে পারেননি।
সাম্প্রতিক সময়ে একটি টেলিভিশনের ফেসবুক পেইজ থেকে ভাইরাল ডাক্তার মুনিয়ার একটি সাক্ষাতকারের অংশ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় তিনি চিকিৎশাস্ত্রে ব্যবহৃত সাধারণ কিছু শব্দের অর্থও বলতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে আনসার সদস্যরা মুনিয়া খান রোজা (২৫) নামে এক ভুয়া গাইনি চিকিৎসককে আটক করেন। এরপর তাকে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সেখান থেকে ওই তরুণীর ঠাই হয় জেলহাজতে। পরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে দাবি করেন তিনি ভুয়া ডাক্তার না।
তার এ ভিডিও এখন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা।
সারমিন আকতার নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া এসব ডাক্তাররা এখন মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে, এদের কাছে মানুষের জীবনের দাম নেই, আছে শুধু টাকার দাম। বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা হচ্ছে শিক্ষা আর চিকিৎসা।’
আনিসুল হক নামে একজন লিখেছেন, ‘সে ডাক্তার না, সে মানসিকভাবে অসুস্থ। সে নিজেকে ডাক্তার মনে করে, এটাই তার মানসিক সমস্যা। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
গৌস্বামী নামে একজন লিখেছেন, ‘আমাদের আশেপাশে এ রকম অনেক ভুয়া ডাক্তার আছে, যারা রোগীদের জীবনের কথা ভাবে না। এদেরকে উচিত শিক্ষা দেয়া উচিত।’
জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন লিখেছেন, ‘এদের মতো ভুয়া চিকিৎসকের কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, বিগত দিনে শিশুসহ অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সুষ্ঠ তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।’
মাহমুদ নামে একজন লিখেছেন, ‘উনি কীভাবে কারাগার থেকে মুক্তি পেল আমার বুঝে আসে না। যত দেখি ততই অবাক হয়ে যাই, এই সাধারণ প্রশ্নগুলো সে জানে না। আবার বলে তিনি নাকি ভুয়া ডাক্তার না। তাকে দ্রুত পাবনা পাঠানো উচিত।’
সুলতানা নামে একজন লিখেছেন, ‘এ মেয়ে সাইকো, ওর চিকিৎসা প্রয়োজন, ওকে বারবার মিডিয়ার সামনে এনে দেশের ইমেজ নষ্ট করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’