ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
একটি সেতুর জন্য ৩৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Thursday, 14 March, 2024, 11:21 AM

একটি সেতুর জন্য ৩৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

একটি সেতুর জন্য ৩৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

একটি মাত্র সেতুর অভাবে যুগের পর যুগ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এলজিইডি বলছে, নতুন সেতু নির্মাণের বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন আছে। বরাদ্দ অনুমোদন হয়ে গেলে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সেতুর কাজটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।    

স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের ফেদুল্লা বেপারিকান্দি এলাকার পদ্মার শাখা নদীতে পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন স্থানীয় মন্টু মাঝি ও এলাকাবাসী। এই সাঁকো দিয়ে উপজেলার পালেরচর, পূর্ব নাওডোবা, বড় কান্দি, কুণ্ডেরচর ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের ৩৫ হাজার মানুষের যাতায়াত। 

সারাবছরই ঝুঁকি নিয়ে বিশাল এই সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয় শরীয়তপুরের ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। এছাড়া ঝুঁকি নিয়ে বিশেষত স্কুলের শিক্ষার্থীসহ প্রবীণ ব্যক্তি, নারী ও শিশুদের পারাপার হতে হয়। ফলে ছোটবড় দুর্ঘটনাসহ নানান বিড়ম্বনায় পরতে হয় এসব এলাকার মানুষের। এছাড়া গবাদিপশু, কৃষি বিপনণসহ অন্যান্য পণ্য আনা-নেয়া করাটাও কষ্টসাধ্য। ঝুঁকির পাশাপাশি সাঁকো পারাপারে সময়ও লাগে অনেক। এই দুর্ভোগ অবসানের জন্য ওই চার ইউনিয়নের লোকজন ফেদুল্লা বেপারিকান্দি এলাকার পদ্মার শাখা নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

ফেদুল্লা বেপারিকান্দি এলাকার শামীম হোসেন বলেন, বাজার সদায়, কৃষি পণ্য পরিবহন, চিকিৎসাসহ সব প্রয়োজনেই স্থানীয়দের ভরসা অস্থায়ী এই ব্যবস্থা। ব্রিজটি না থাকায় দুর্ভোগ প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের। শুধু আশ্বাস নয়, দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

শিক্ষার্থী রাফিন আহম্মেদ বলেন, এই সাঁকো দিয়েই স্কুলে যাই। মাঝে মাঝে পা ফসকে পড়ে যায়, মাঝে মধ্যে স্কুল বন্ধ দেই। সেতুটি হলে ভালো হতো। বাড়ি থেকে গাড়িতে উঠে স্কুলে যেতাম, স্কুল থেকে গাড়িতে উঠে বাড়ি যেতে পারতাম।

জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার বলেন, ব্রিজটির জন্য বহুবার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ড্রইংও করা হয়েছিল কিন্ত কাজ হয়নি। ব্রিজ না থাকায় আশপাশের লোকজন অনেক কষ্টে আছে। রোগী ও শিক্ষার্থীদের অনেক দূর ঘুরে যেতে হয় এবং বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। এই জায়গাটিতে একটি ব্রিজ করা খুব জরুরি।

পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন খান বলেন, পালেরচর, বড়কান্দি, জাজিরা, কুন্ডেরচর, বিলাসপুরের লোক পদ্মা সেতুতে যেতে পারবে এই সেতুটি হলে। ব্রিজটি যেন হয় তার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। ব্রিজটির জন্য এলজিইডি ও এমপিও চেষ্টা করছেন।

জাজিরা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. ইমন মোল্লা বলেন, নতুন সেতু নির্মাণের বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন আছে। বরাদ্দ অনুমোদন হয়ে গেলে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সেতুর কাজটি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারব। 

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status