ঢাকায় যেসব স্থানে কম দামে মিলবে গরুর মাংস
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
আসন্ন রমজানে রাজধানীর ৩০টি স্থানে ট্রাকে করে কম দামে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। আজ রোববার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে রমজান উপলক্ষ্যে কম দামে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। প্রাণীসম্পদমন্ত্রী জানান, ৬০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস, ৯০০ টাকা কেজিতে খাসির মাংস, ব্রয়লার মুরগি (ড্রেসড) ২৫০ টাকা কেজি, দুধ ৮০ টাকা লিটার এবং প্রতিটি ডিম সাড়ে ১০ টাকা করে বিক্রি করা হবে। এ সময় আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিদিন কম দামে রাজধানীতে ৫ হাজার কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে পরিচালিত হবে। এ ছাড়া স্থায়ী বাজারের আরও ৫টি স্থানে মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু থাকবে। যেসব স্থানে কম দামে মিলবে গরুর মাংস, ডিম ও দুধ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো–(১) নতুনবাজার (বাড্ডা), (২) কড়াইল বস্তি (বনানী), (৩) খামারবাড়ী (ফার্মগেট), (৪) আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), (৫) গাবতলী, (৬) দিয়াবাড়ী (উত্তরা), (৭) জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), (৮) ষাটফুট রোড (মিরপুর), (৯) খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), (১০) সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), (১১) সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), (১২) আরামবাগ (মতিঝিল), (১৩) রামপুরা, (১৪) কালসী (মিরপুর), (১৫) যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), (১৬) বসিলা (মোহাম্মদপুর), (১৭) হাজারীবাগ (শিকশন), (১৮) লুকাস (নাখালপাড়া), (১৯) আরামবাগ (মতিঝিল), (২০) কামরাঙ্গীর চর, (২১) মিরপুর ১০, (২২) কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), (২৩) তেজগাঁও, (২৪) পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) (২৫) কাকরাইল। স্থায়ী বাজার–(১) মিরপুর শাহ আলি বাজার, (২) মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট (৩) নতুন বাজার (১০০ ফুট), (৪) কমলাপুর, (৫) কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাণিজাত পণ্যগুলো বিক্রয়ের জন্য সুসজ্জিত পিকআপ কুলভ্যান ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল ৯টার মধ্যে প্রাণিজাত পণ্য নিয়ে কুলভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। কার্যক্রমটি তদারকি ও মনিটরিং করার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |