সোহান হত্যার প্রতিবাদে মানব বন্ধন,পৃষ্ঠপোষকদের অবাঞ্ছিত ঘোষনার দাবি
আহম্মেদুল কবির, কুড়িগ্রাম
|
![]() সোহান হত্যার প্রতিবাদে মানব বন্ধন,পৃষ্ঠপোষকদের অবাঞ্ছিত ঘোষনার দাবি মানববন্ধনে তাদের পৃষ্ঠপোষকদেরও অবাঞ্ছিত ঘোষনা করার জোরদাবী জানানো হয়। উক্ত মানববন্ধনের সময় বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব কাজিউল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আনিছুর রহমান চাঁদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা' র সাধারন সম্পাদক রেদওয়ানুল হক দুলাল,একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল বোস,স্থানীয়, ব্যবসায়ীবৃন্দ শুভানুধ্যায়ী, ভালোবাসার মানুষজন ও নিহত সোহানের বন্ধু এবং স্বজনসহ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধন থেকে এ নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানানো হয় এবং একই সাথে এধরণের উচ্ছৃঙ্খল, সন্ত্রাসী যেকোনো দলের ছাত্রদের পৃষ্ঠপোষকদেরও চিহ্নিত করে ধিক্কার জানিয়ে তাদেরও কুড়িগ্রামের রাজনীতি থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করারও জোর দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম খলিলগঞ্জ কনভেনশন সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট জীপগাড়ীতে দুই ছাত্রলীগ নেতার দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এতে দুই ছাত্রলীগ নেতা আহত হওয়ার খবর পেয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দু ও পলিটেকনিক ছাত্রলীগ সভাপতি ঝিনুক মিয়া তাদের সহযোগিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং জীপে থাকা শরীফুল ইসলাম সোহানকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় শুক্রবার নিহত শরীফুল ইসলাম সোহানের স্ত্রী রোজিনা পারভীন বাদী হয়ে হয়ে সদর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে সেদিন রাতেই সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির বিন্দু,ও পলিটেকনিক ছাত্রলীগ সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আদালতের মাধ্যমে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। অপরদিকে অভিযুক্ত ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |