ওর স্ত্রী অন্য পুরুষের কাছে যাওয়ার পরে আমি ওকে পেয়েছিলাম, আজ সে আমার স্বামী, গল্পটা ছিল...
নতুন সময় ডেস্ক
|
এই তরুণী অফিসে এক যুবকের প্রেমে পড়েন। কিন্তু সে ছিল বিবাহিত। এক সময়ে যদিও সে তাঁর পছন্দের পুরুষকে পায়। কিন্তু কী করে তা সম্ভব হল? একে অপরের সঙ্গে ভালো সময় কাটাই কফি ব্রেকেও দেখা হত আমাদের। আমি ওর সব অভ্যাসের দিকে নজর দিতে থাকি। কখন ও কী করে, সব খেয়াল রাখতে শুরু করি। এরপর আমি খেয়াল করি যে, ও আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা বলাও শুরু করে। আমি খুব খুশি হই। কয়েক মাসের মধ্যেই আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। আমরা প্রচুর কথা বলতাম। কাজের সময়েও কথাবার্তা হত। অফিসে লাঞ্চ করার সময়ে নানা বিষয়ে আমাদের মধ্য়ে হাসি-ঠাট্টা হত। এমনকী অফিসের পরেও সবাই মিলে কোথাও ডিনারে যেতাম। এরপর আমরা ধীরে ধীরে একে অপরের কাছে আসতে থাকি। আমরা যে একে অপরকে পছন্দ করি, তাও ধীরে ধীরে বোঝা যায়। আমার খুব ভালো লাগে, মনে হয়, এবার জীবনে সেই সেরা অভিজ্ঞতা হবে আমার। তুমি কি বিবাহিত? কিন্তু এই সুখ খুব বেশিদিন থাকেনি। আমি ওর আঙুলে বিয়ের আংটি দেখতে পাই। আমি ওকে মজা করেই জিজ্ঞাসা করি, “তুমি কি বিবাহিত?”, ও উত্তর দেয়, “হ্যাঁ”। সঙ্গে সঙ্গে আমার মন ভেঙে যায়। আমি বুঝতে পারি না যে কী করব। কিন্তু তারপরেই ও জানায় যে, গত দুবছর ধরে ওর বিবাহিত জীবনে নানা ঝড় আসছে। কোনওকিছুই আর ঠিক নেই। ওর স্ত্রীকে আর আগের মতো ভালোবাসে না ও। এমনকী এটাও সে পরোক্ষভাবে জানায় যে, এখন সে নতুন কারও সঙ্গেই জীবনটি ভাবছে। আমি যদিও নিশ্চিত হতে পারিনি এবং এরপরে আমার মনে আবারও তার প্রভাব পড়ে। ওদের ছবি দেখে চোখ ভরে যায় আমি ওর কথা বিশ্বাস করতে পারি না। আমার খুব মনখারাপ হয়ে যায়। এরপর বাড়ি ফিরে ওর সোশ্য়াল মিডিয়া প্রোফাইল স্টক করতে শুরু করি। সেখানে ওর স্ত্রীর সঙ্গে ছবিও দেখি আমি। ওর স্ত্রী অনেক ছবিতে ঠিক ওর পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁকে কী সুন্দর দেখতে! সুন্দর হাসি দেখলেই মন হারিয়ে যেতে পারে যে কোনও পুরুষের। ঠিক এতটাই সুন্দর তিনি। যাই হোক, আমার মন এতটাই ভার লাগছিল যে আমি বাড়ির কাছেই একটি বারে যাই। মদ্যপান শুরু করি। ওদের কি ডিভোর্স হবে? কিছুক্ষণ পর আমি দেখি আমার পাশেই সেই মহিলা বসে আছেন। পাশের টেবিলেই সেই মহিলা অন্য় এক পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছেন। তাই দেখে আমার মাথা ঘুরে যায়। আমি ভাবি, নেশার ঘোরে ভুল দেখছি না তো! কিন্তু পরে খেয়াল করি যে, না! সেই মহিলাকেই আমি দেখছি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ছবি তুলে রাখি আমি। সঙ্গে সঙ্গে আমি সেই কথা আমার সহকর্মীকে জানাই। ও কিন্তু খুব বেশি অবাক হয়নি। বরং এই কথা বলে, “আমি জানতাম, আমার স্ত্রী আজ নয়তো কাল আমায় প্রতারণা করতেই চলেছেন।” যাই হোক, আমারও মন ভালো ছিল না। এরপর আমাদের বিয়ে হয় পরের দিন আর ও অফিসে আসেনি। আমার মনে অপরাধবোধ হচ্ছিল। কিন্তু কিছুদিন পর ও আমাকে আবার মেসেজ করে। আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়। একটি ক্যাফেতে আমরা দেখা করি। তখন ও আমাকে জানায় যে, ওদের ডিভোর্স হতে চলেছে। সেই কথা শুনে আমার খারাপ লাগছিল ঠিকই, কিন্তু একটু ভালোও লাগছিল। ও আমার হাত ধরে ধন্যবাদ জানায়। এরপর ৬ বছর কেটে গিয়েছে। আমাদের বিয়েরও ২ বছর হয়ে গিয়েছে। তাহলে একে আমি কী বলব, আমার ভাগ্য নাকি কোনও মিরাকল? |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |