বাঙালি মূলত ভাত-প্রিয় হলেও ফুলকা বা রুটি প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই বানানো হয়। যারা পরিবারের সঙ্গে থাকে এবং যারা চাকরি বা পড়াশোনার কারণে বাড়ি থেকে দূরে পিজিতে একা থাকে তাদেরও কখনও সখনও রুটি তৈরি করে খেতে হয় নিজে হাতেই। কিন্তু সেই কাজ যে খুব একটা সহজ হয় তা নয়। মাঝে মাঝে তো রুটি জুতোর সোলের মতো শক্ত হয়ে দাঁতের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এর কারণ এই নয় যে আপনি ঠিকমতো রুটি বানাতে পারছেন না, আসল কারণ হল আপনি ঠিকমতো আটা বা ময়দা মাখাতে পারছেন না।

আটা-ময়দা ভালোভাবে মাখলেই প্রতিটি রুটি বেলুনের মতো ফুলে ওঠে। সেজন্য ময়দা মাখাতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিবেদনে এমন কিছু টিপস দেওয়া হল যা আটা - ময়দা মাখতে আপনার জন্য খুব কাজের হতে পারে।

ভালো ময়দা মাখার টিপস, সুন্দরভাবে ময়দা মাখার টিপস:-
ময়দার জন্য পাত্র: আটা বা ময়দা ১-২ মিনিটের জন্য মাখা হয়। সেই সময় সাধারণত একটি বৃত্তাকার পাত্র ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, আপনি যখন ময়দার জন্য সঠিক বাসন ব্যবহার করতে চান। তখন আপনার সেই পাত্র ব্যবহার করা উচিত যার পৃষ্ঠটি সমতল।

পানির পরিমাণ:
আটা-ময়দা অনেক সময় না চাইলেও শক্ত হয়ে যায় এবং বেশি পানি দিলে আঠালো ও পাতলা হয়ে যায়, যার কারণে রুটি প্যানে লেগে থাকে এবং ফুলে যায় না। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে ময়দা মাখার সময় হালকা গরম জল ব্যবহার করুন। কুসুম কুসুম গরম জল দিয়ে মাখানো আটা ময়দার রুটি তুলতুলে ও ফুলকো হয়। এটির একটি সুবিধা হল এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য রুটি নরম রাখে।

তেল মেশানো যেতে পারে:
যদি আপনার আটা ময়দা মাখার সময় ক্রমাগত পাত্রে লেগে থাকে, তাহলে খুব শুকনো ময়দা ব্যবহার না করে তেল ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত শুকনো আটা ব্যবহারের কারণে আটা জায়গায় জায়গায় শুকিয়ে যায়, যার কারণে সাধারণ রুটি তৈরি হয় না।

আটা সময়
নরম এবং তুলতুলে রুটি তৈরি করতে, ময়দাটি কমপক্ষে ১০ মিনিটের জন্য মাখতে হবে। এতে রুটির রং ও স্বাদ যেমন ভালো হয়, তেমনি রুটি বানাতেও কোনও সমস্যা হবে না।