হাতীবান্ধায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিখন প্রকল্পে শুরুতে অনিয়ম
বিলের নামে টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি
এম এ হান্নান সরকার, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
|
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য শিখন প্রকল্পে শুরুতে সীমাহীন অনিয়ম এর অভিযোগ উঠেছে। কাগজে কলমে প্রকল্প দাখিল করে প্রতিটি ইউনিয়নে জরিফ ও অবহিতকরণ সভা, অফিস রুম ভাড়া, আসবাবপত্র ও অফিস ব্যবস্থা বিলের নামে টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে,উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো আওতায় আরশি নগর বাংলাদেশ নামের একটি সংস্থা ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দানে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের শুরুতে ঝরে পড়া শিশু নির্ধারণে জরিফ ও অবহিতকরণ সভা করা হয়নি। সংস্থার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা পর্যায়ে অফিস নাই। অথচ গোপনে জরিপের কাজ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদনের অসৎ উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি দায়সারা অফিস ঘর নিয়েছেন। সে অফিস ঘরকে উপজেলা অফিস দেখিয়ে চলতি বছরের জুন মাসে অফিস ভাড়া উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন অসাধু কর্মকর্তারা। প্রকল্পের কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক লিংকন লালমনিরহাট জেলার শিক্ষা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারি পরিচালক সাইদুর রহমান এই দুই অসাধু কর্মকর্তা গোপনে জরিপ করে বিল ভাতা উত্তোলন করে টাকা আত্নসাত করেছেন। অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। জানাগেছে, সংস্থাটি কোন কিছু না করেই কাগজে কলমে প্রকল্প দাখিল করে অসত্য তথ্য দিয়ে চলতি বছরের জুন মাসে বিল উত্তোলন করছেন। কাজ না করেই প্রতিটি ইউনিয়নে জরিফ ও অবহিতকরণ সভার নামে বিল, অফিস রুম ভাড়া, আসবাবপত্র ও অফিস ব্যবস্থা বিলের নামে টাকা উত্তোলন করে আত্নসাত করেছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হলে তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে এ প্রতিনিধিকে জানান। লালমনিরহাট জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তথ্য দেয়া আমার কাজ নয় বলে জানান। প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ উপজেলা এলাকার প্রশাসন ও নেতাদের অসহযোগিতায় আজও প্রকল্প চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |